দীর্ঘ প্রত্যাশার পর অবশেষে সৌদির রিয়াদ থেকে ৩৮৬ জন যাত্রী নিয়ে দেশের উদ্দেশ্যে স্থানীয় সময় ১২টা ৪৫ মিনিটে উড়াল দিয়েছে বাংলাদেশ বিমান-৭৭৭। করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় অন্যান্য দেশের মতো সৌদিও আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বন্ধ রেখেছিল প্রায় ৩ মাস।
Advertisement
দীর্ঘ সময় যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ থাকায় সৌদিতে আসা ওমরা কিংবা ভিজিটে থাকা অনেকে আটকা পড়েছিলেন। এদিকে, সৌদি আরবে করোনা মোকাবিলায় জারিকৃত কারফিউ ও লকডাউনও প্রত্যাহার করা হয়েছে।
করোনাকালীন মধ্যপ্রাচ্যের এ দেশটিতে অনেক প্রবাসী মানবেতর জীবনযাপন করছিলেন। অসুস্থ প্রবাসী এবং আটকাপড়া বাংলাদেশিদের দেশে পাঠাতে লিখিত এবং লাইভের মাধ্যমে অনুরোধ জানানো হয়েছিল প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদের কাছে।
অনুরোধের কয়েকদিন পর এই বিশেষ ফ্লাইটের ঘোষণা আসে রিয়াদ বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে। ঘোষণা আসার পর সৌদি আরবের আটকাপড়া প্রবাসী এবং অসুস্থ প্রবাসীদের জন্য আবেদন গ্রহণ করা হয় দূতাবাসের দেয়া একটি লিংকের মাধ্যমে।
Advertisement
অন্যদিকে রাষ্ট্রদূত গোলাম মসীহর নির্দেশনায়, রিয়াদ দূতাবাসের পলিটিক্যাল কাউন্সিলর হুমায়ুন কবিরের পর্যবেক্ষণে, দূতাবাসের পাসপোর্ট ও ভিসা উইং-এর প্রথম সচিব মোহাম্মদ বেলাল ও পাসপোর্ট ও ভিসা উইং কর্মরত অফিসারদের সহযোগিতায় ধারাবাহিকভাবে ৩টি পদ্ধতির মাধ্যমে ৫৩৫ জনের নামের তালিকা রিয়াদ দূতাবাসের ওয়েবে প্রকাশ করা হয়।
এটি প্রকাশের পর যাদের নাম তালিকাতে আসছে তারা টিকিট সংগ্রহ করেছেন বাংলাদেশ বিমান থেকে। সব কিছু মিলে ৩ মাস পর রিয়াদ থেকে দূতাবাসের পরিচালনায় সুন্দর একটি বিশেষ ফ্লাইট পেলেন তারা এমনটিই প্রবাসীদের মতামত।
প্রবাসীরা বলছেন, এই বিশেষ ফ্লাইট যদি দূতাবাস থেকে পরিচালনা করা না হতো তাহলে অসুস্থ এবং অসহায় প্রবাসী যারা আছেন তারা হয়তো দেশে যাওয়ার সুযোগ পেতেন না।
এদিকে বিমানের টিকিটের দাম নিয়ে আরেকটি সমস্যা দেখা দিয়েছে। এই সকল বিশেষ ফ্লাইটে যেহেতু ৮০ শতাংশ প্রবাসী অসহায় এবং অসুস্থদের জন্য ২৮০০ সৌদি রিয়াল দিয়ে টিকিট সংগ্রহ করাটা কষ্টকর। আর তাই প্রবাসীরা বাংলাদেশ সরকার এবং বিমান মন্ত্রণালয়ের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন পরবর্তী ফ্লাইটে যেন টিকিটের বিষয়টি আমলে নিয়ে দাম কমিয়ে আনার জন্য।
Advertisement
এমআরএম/এমকেএইচ