জাতীয়

নির্দিষ্ট বাড়িভিত্তিক লকডাউন করা গেলে ভালো হয় : আতিকুল

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে আমাদের কাছে এখনো সুনির্দিষ্ট তালিকা আসেনি। শুধু জোন ভাগ করে একটা খসড়া পাঠানো হয়েছে। কিন্তু আমরা এখনো সুনির্দিষ্ট কোনো ম্যাপিং পাইনি। আমরা তাদের বারবার বলছি আপনারা সুনির্দিষ্ট ম্যাপিং দেন আমরা লকডাউন বাস্তবায়ন করব।

Advertisement

আতিকুল ইসলাম বলেন, লকডাউন কার্যকর করার আগে প্রথমে কিন্তু রাজাবাজারকে রেড জোন চিহ্নিত করা হলো। পরে আমরা সার্ভে করে দেখলাম সেটা রাজাবাজার নয়, শুধু পূর্ব রাজাবাজার। তাই আমরা চাই সুনির্দিষ্ট ম্যাপিং। সেক্ষেত্রে যদি বাড়ি চিহ্নিত করে দেয়া যায় তাহলে আরও ভালো। আমরা বাড়িটি সম্পূর্ণরূপে লকডাউন করতে পারব।

রোববার (২১ জুন) বিকেলে নগর ভবন থেকে এক ভিডিও বার্তায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম এসব কথা বলেন।

ডিএনসিসি মেয়র বলেন, লকডাউনের প্রস্তুতি বিষয়ে আমি কাউন্সিলরদের সঙ্গে বৈঠক করে তাদের প্রত্যেককে প্রস্তুত থাকতে বলেছি। সুনির্দিষ্ট ম্যাপিং পেলে আমরা কাজ শুরু করতে পারব।

Advertisement

মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ম্যাপিংটা কিন্তু করে দেবে স্বাস্থ্য অধিদফতর। তবে আজ পর্যন্ত আমরা বিস্তারিত ম্যাপিং পাইনি। আমরা এখন শুনতে পেয়েছি যে, যারা প্রথমদিকে টেস্ট করিয়েছে তারা পূর্ণাঙ্গ ঠিকানা দেয়নি। সেখানে হয়তো উল্লেখ করেছে মিরপুর বা উত্তরা। সেই সঙ্গে ফোন নম্বর এন্ট্রি করেছে। তাই এটা একটা সমস্যা লকডাউনের ক্ষেত্রে। কারণ নির্দিষ্ট কোন জায়গা, কোন স্থান, সেটা চিহ্নিত করা কঠিন।

তিনি আরও বলেন, আমরা পূর্ব রাজাবাজার এলাকায় লকডাউন করে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি। সেখানকার মানুষের বিভিন্ন জনের বিভিন্ন রকম আবদার। অনেকে যেমন পিৎজা চাচ্ছে তেমনি অনেকে প্রয়োজনীয় ওষুধও চাচ্ছে।

ডিএনসিসি মেয়র বলেন, আমাদের নগরবাসীর জন্য জীবন-জীবিকা দুটোই দেখতে হবে। তাই বলব যদি সুনির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত করে দেয়া হয় তাহলে আমরা ওই বাড়িটি লকডাউন করে দিতে পারতাম। আমাদের বিশেষজ্ঞ কমিটি, টেকিনিক্যাল কমিটি যেভাবে বলবে সেভাবেই কাজ করব। তারা যত তাড়াতাড়ি সুনির্দিষ্ট তালিকা দেবে আমরা তত তাড়াতাড়ি কাজ করতে পারব।

এর আগে চলমান করোনাভাইরাসে আক্রান্তের হার বিবেচনায় রেড, ইয়েলো ও গ্রিন জোন চিহ্নিত করে করোনা প্রতিরোধে গঠিত জাতীয় টেকনিক্যাল কমিটি। এতে ঢাকার ৪৫টি এলাকাকে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ বা রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত করে তা লকডাউনের সুপারিশ করা হয়েছিল। এর মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ২৮টি এবং ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ১৭টি এলাকা রয়েছে।

Advertisement

জানা গেছে, লকডাউনের জন্য রেড জোন হিসেবে তালিকায় থাকা ঢাকা উত্তর সিটির এলাকাগুলোর মধ্যে রয়েছে- গুলশান, বাড্ডা, ক্যান্টনমেন্ট, মহাখালী, তেজগাঁও, রামপুরা, আফতাবনগর, মগবাজার, এয়ারপোর্ট, বনশ্রী, রাজাবাজার, মোহাম্মদপুর, কল্যাণপুর, গুলশান, উত্তরা, মিরপুর। এগুলোকে রেড জোন হিসেবে ঘোষণার সুপারিশ করেছে টেকনিক্যাল কমিটি।

ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে রেড জোনের জন্য সুপারিশকৃত এলাকার মধ্যে আছে- যাত্রাবাড়ী, ডেমরা, মুগদা, গেন্ডারিয়া, ধানমন্ডি, জিগাতলা, লালবাগ, আজিমপুর, বাসাবো, শান্তিনগর, পল্টন, কলাবাগান, রমনা, সূত্রাপুর, মালিবাগ, কোতোয়ালি, টিকাটুলি, মিটফোর্ড, শাহজাহানপুর, মতিঝিল, ওয়ারী, খিলগাঁও, পরীবাগ, কদমতলী, সিদ্ধেশ্বরী, লক্ষ্মীবাজার, এলিফ্যান্ট রোড ও সেগুনবাগিচা।

এএস/এমএফ/এমকেএইচ