প্রবাস

করোনায় মৃত্যুশূন্য দিন ইতালির

মহামারি করোনাভাইরাসে বিপর্যস্ত ইতালি দিন দিন উন্নতির দিকে যাচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে মৃতের সংখ্যা শূন্যতে নেমে এসেছে। এ রকম একটি সুসংবাদ দিয়েছে ইতালি সিভিল প্রটেকশন বিভাগ।

Advertisement

প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, দেশটির ১১ অঞ্চলে গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড-১৯ এ একটিও মৃত্যুর ঘটনা রেকর্ড হয়নি। এ রকম সংবাদে দেশটির জনগণ স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে।

স্থানীয়রা বলেন, আমরা কঠিন বিপদ অতিক্রম করে আজ সহজ জীবনের প্রত্যাশায় এগিয়ে যাচ্ছি। সরকারের নিয়মনীতি মানার পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি মেনে জীবন পরিচালনা করতে হচ্ছে। শিগগিরই স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে চায় তারা।

কোভিড -১৯ এর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে একটিও মৃত্যু নেই এমন অঞ্চলগুলো মার্কে, টাস্কানি, ক্যাম্পানিয়া, সিসিলি, আব্রুজ্জো, সার্ডিনিয়া, ভ্যালে ডি আওস্তা, ক্যালাব্রিয়া, মোলিস, বেসিলিকাটা, ট্রেন্টিনো আল্টো অ্যাডিজ উল্লেখযোগ্য।

Advertisement

ইতালিতে প্রথম করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হওয়ার আগেই গত ১৮ ডিসেম্বর দেশটির মিলান ও তুরিন শহরের বর্জ্য পানিতে এ ভাইরাসের অস্তিত্ব খুঁজে পেয়েছিলেন বিজ্ঞানীরা। ইতালির দ্য ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথের (আইএসএস) বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।

চীনা কর্মকর্তারা গত ডিসেম্বরের শেষ দিকে প্রথম করোনাভাইরাস রোগী শনাক্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। ইতালিতে প্রথম করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছিল ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে।

ফরাসি বিজ্ঞানীরা নমুনা পরীক্ষা করে জানান, গত ২৭ ডিসেম্বর প্যারিসের কাছে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত একজন রোগীর চিকিৎসা করা হয়েছিল, যিনি মূলত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন। এর মাধ্যমে প্রতীয়মান হয় যে, বিশ্বের অন্যান্য দেশে যখন ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ছিল বলে মনে করা হচ্ছে, তার আগে থেকেই এটি পরিভ্রমণ করছিল।

ইতালিতে স্থানীয়ভাবে প্রথম করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছিল লোম্বার্ডি অঞ্চলের কোডোগনো শহরে। এরপর ২১ ফেব্রুয়ারি ওই শহরটি লকডাউন করে ‘রেড জোন’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়। পরে পার্শ্ববর্তী ভেনেতোসহ লোম্বার্ডি অঞ্চলের নয়টি শহর লকডাউন করা হয়। মার্চের প্রথম দিকে গোটা দেশে লকডাউন ঘোষণা করা হয়।

Advertisement

জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ইতালিতে কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে প্রায় ৩৫ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে।

এমআরএম/এমকেএইচ