বগুড়ায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মোহাম্মদ সালাউদ্দিন (৫৪) নামে এক প্রকৌশলী ও শাফিউল আলম (৫৯) নামে এক কলেজশিক্ষক মারা গেছেন। এদের মধ্যে রোববার (২১ জুন) সকাল ৮টায় টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রকৌশলী মোহাম্মদ সালাউদ্দিন মারা যান।
Advertisement
টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মুখপাত্র ও সহকারী নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুর রহিম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
প্রকৌশলী মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বগুড়া শহরের জলেশ্বরীতলায় বসবাস করতেন। তার গ্রামের বাড়ি পাবনা সদরের কাচারিপাড়া এলাকায়। এলজিইডির রাজশাহী উন্নয়ন প্রকল্পে নির্বাহী প্রকৌশলী পদে কর্মরত ছিলেন। লকডাউনের পর থেকে তিনি বগুড়ায় পরিবারের সঙ্গেই থাকতেন। এর আগে তিনি নারায়ণগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী ছিলেন।
টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মুখপাত্র ও সহকারী নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুর রহিম জানান, মোহাম্মদ সালাউদ্দিন করোনা পরীক্ষার জন্য টিএমএসএস- এ গত ৩১ মে নমুনা দেন। পরদিন ১ জুন সেই নমুনার ফলাফলে তার করোনা পজিটিভ আসে। পরে ৪ জুন বিকেল ৪টার দিকে টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ভর্তি হন। দীর্ঘ ১৭দিন চিকিৎসাধীন থেকে রোববার সকালে তিনি মারা যান। সালাউদ্দিনের দুই ছেলে করোনায় আক্রান্ত হলেও তারা চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়েছেন।
Advertisement
অপরদিকে বগুড়ার করোনা রোগীদের জন্য ডেডিকেটেড মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে রোববার সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান কলেজ শিক্ষক শাফিউল আলম। তার বাড়ি গাবতলী উপজেলার হামিদপুর গ্রামে। তিনি গাবতলীর লাঠিগঞ্জ স্কুল অ্যান্ড কলেজের সহকারী অধ্যাপক ছিলেন।
মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) খায়রুল বাশার বলেন, শাফিউল আলম প্রায় ১২ দিন ধরে শ্বাসকষ্টসহ করোনার উপসর্গে ভুগছিলেন। নমুনা পরীক্ষায় গত শুক্রবার (১৯ জুন) তার করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসে। শনিবার দুপুরে তাকে মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের আইসোলেশনে ভর্তি করা হয়। শ্বাসকষ্ট বেড়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার সকালে তার মৃত্যু হয়।
আরএআর/পিআর
Advertisement