জাতীয়

করোনায় পেছাল বার্ষিক কর্ম সম্পাদন চুক্তি

করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণের কারণে আগামী অর্থবছরের (২০২০-২১) বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) প্রণয়নের সময়সীমা, একই সঙ্গে চলতি অর্থবছরের (২০১৯-২০) এপিএ মূল্যায়নের পেছাল।

Advertisement

আগামী অর্থবছরের এপিএ প্রণয়নের সময়সীমা বর্ধিত এবং চলতি অর্থবছরের মূল্যায়নের সময়সীমা নির্ধারণ করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে সকল মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং বিভাগীয় কমিশনারের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে।

বিগত কয়েক বছর ধরে অর্থবছরের শুরুতে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও অধীন সংস্থাগুলোকে লক্ষ্য ঠিক করে দেয়া হয়, এ বিষয়ে বার্ষিক কর্ম সম্পাদন চুক্তি হয়। মন্ত্রণালয়/বিভাগগুলোর সঙ্গে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এবং অধীন সংস্থাগুলোর সঙ্গে মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো এপিএ করে থাকে। অর্থবছর শেষে হয় মূল্যায়ন, লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী কতটুকু অর্জিত হলো। কিন্তু করোনার কারণে চুক্তি ও মূল্যায়ন সময় মতো করা সম্ভব হচ্ছে না।

মন্ত্র্রিপরিষদ বিভাগের চিঠিতে বলা হয়, মন্ত্রণালয় ও বিভাগসমূহ ৩০ জুলাইয়ের মধ্যে ২০২০-২১ অর্থবছরের এপিএ’র খসড়া এপিএএমএস সফটওয়্যারের মাধ্যমে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে দাখিল করবে। প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন ও সুবিধাজনক সময় সাপেক্ষে মন্ত্রণালয়/বিভাগের এপিএ স্বাক্ষরের তারিখ পরবর্তীতে জানানো হবে। তবে এপিএ’র কার্যকারিতা অর্থবছরের সঙ্গে মিল রেখে ১ জুলাই থেকেই শুরু হবে।

Advertisement

অন্যান্য সকল সরকারি অফিস (দফতর/সংস্থা ও মাঠ পর্যায়ের কার্যালয়সমূহ) নিজ নিজ অফিসের ২০২০-২১ অর্থবছরের চূড়ান্ত এপিএ প্রণয়নসহ ঊর্ধ্বতন অফিসের সাথে এপিএ স্বাক্ষরের কাজ ৩০ জুলাইয়ের মধ্যে সম্পন্ন করবে।

মন্ত্রণালয় বিভাগসমূহ ২০১৯-২০ অর্থবছরের এপিএ চূড়ান্ত মূল্যায়ন প্রতিবেদন প্রমাণকসহ আগামী ১০ আগস্টের মধ্যে এপিএএমএস সফটওয়্যারের মাধ্যমে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে দাখিল করবে। তবে ২ মেগাবাইটের বেশি আকারের প্রমাণকসমূহ ই-মেইলে পাঠানো যাবে। প্রমাণকসমূহের কোন হার্ডকপি গ্রহণ করা হবে না।

মন্ত্রণালয়/বিভাগ, দফতর/সংস্থাসহ সব সরকারি অফিস তাদের নিজ নিজ আওতাধীন অফিসসমূহের ২০১৯-২০ অর্থবছরের চূড়ান্ত মূল্যায়ন ৩০ আগস্টের মধ্যে সমাপ্ত করবে।

এই নির্দেশনা ও সময়সীমা অনুযায়ী ২০২০-২১ অর্থবছরের এপিএ প্রণয়ন এবং ২০১৯-২০ অর্থবছরের এপিএ মূল্যায়ন কার্যক্রম সম্পাদন এবং বিষয়টি নিয়ে নিজ নিজ আওতাধীন সংস্থা ও মাঠ পর্যায়ের অফিসকে অবহিত করার নির্দেশনা দেয়া হয় চিঠিতে।

Advertisement

আরএমএম/এসএইচএস/পিআর