জাতীয়

চীনের বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশের প্রতি আকৃষ্ট হবে

 

চীনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাহবুব উজ জামান মনে করেন, বাংলাদেশি পণ্যে ৯৭ শতাংশ যে শুল্কমুক্ত বাজারসুবিধা চীন দিয়েছে তাতে দেশটির বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশের প্রতি আকৃষ্ট হবে। এটা বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত ইতিবাচক দিক। পাশাপাশি বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরাও রফতানিযোগ্য পণ্য বাড়াতে উদ্যোগী হবে বলে মনে করেন তিনি।

Advertisement

জাগো নিউজের সঙ্গে আলাপকালে মাহবুব উজ জামান বলেন, এশিয়া প্যাসিফিক ট্রেড অ্যাগ্রিমেন্টের (আপটা) চেয়েও বেশি সুবিধা আমরা পাচ্ছি। এটার পণ্য কাভারেজ অনেক বেশি। তিনটি পণ্য ক্যাটাগরিতে আট হাজার ২৫৬টি পণ্যের ওপর চীন এই সুবিধা দেবে।

তিনি জানান, ক্যাটাগরির প্রথমটা ‘সুবিধাপ্রাপ্ত দেশ স্বল্পোন্নত’। এর অধীনে পাঁচ হাজার ১৬১টি পণ্য, দ্বিতীয় ক্যাটাগরির ‘সুবিধাপ্রাপ্ত দেশ স্বল্পোন্নত-১’এর অধীনে দুই হাজার ৯১১টি পণ্য এবং তৃতীয় ক্যাটাগরি ‘সুবিধাপ্রাপ্ত দেশ স্বল্পোন্নত-২ এর অধীনে ১৮৪টি পণ্য শুল্কমুক্ত সুবিধা পাওয়া যাবে।

চীন আট হাজারেরও বেশি পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা দিলেও বাংলাদেশের রফতানিযোগ্য পণ্য কম উল্লেখ করে মাহবুব উজ জামান বলেন, এই সুবিধা গ্রহণ করতে হলে বাংলাদেশকে রফতানিযোগ্য পণ্য বাড়াতে হবে।

Advertisement

‘এছাড়া শুল্কমুক্ত সুবিধা থাকায় চীনের বিনিয়োগকারী এখন বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী হবে। কারণ, এদেশে পণ্য উৎপাদন করে বিনাশুল্কে নিজ দেশে নিয়ে যাওয়ার সুযোগ তারা পাবে,’ বলেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত।তিনি মনে করেন, চীনা বিনিয়োগকারী টানতে পারলেই এই সুবিধা ‘ভ্যালু অ্যাড’ করতে পারবে। আগামী ১ জুলাই থেকে বাংলাদেশ এই সুবিধা ভোগ করবে।

মাহবুব উজ জামান বলেন, স্বল্পোন্নত দেশের জন্য শুল্কমুক্ত পণ্যের প্রবেশাধিকার দিতে চীনের প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।আগামী চার বছরের জন্য চীন বাংলাদেশকে এই সুবিধা দিয়েছে। তবে প্রয়োজনে তারা সেটা বাড়াতেও পারে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে আমরা এই সুবিধা পেলেও ২০২৭ সালে আমরা মধ্যম আয়ের দেশে সম্পূর্ণভাবে উন্নীত হলেও যাতে এই শুল্কমুক্ত সুবিধা অব্যাহত থাকে বিষয়ে আমরা কাজ করে যাব।

সাবেক সচিব তৌহিদ হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, ‘শুল্কমুক্ত পণ্যের সংখ্যায় কিছু যায় আসে না। এরমধ্যে কতটি পণ্য বাংলাদেশ রফতানি করতে পারবে তার ওপর নির্ভর করবে এই সুবিধা বাংলাদেশের ওপর কী প্রভাব ফেলে। এই তালিকায় যদি আমাদের ৫০০ পণ্যও থাকে যা আমরা উৎপাদন করে থাকি, তা যদি রফতানি করতে পারি সেটাই হবে লাভজনক।’

Advertisement

জেপি/এসআর/পিআর