হরেক রকম গাছ-গাছালি, নানা রকম প্রাণী, লাল মাটি, উঁচু নিচু রাস্তা, ছোট বড় লেকের কারণে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের রাজধানী বলা হয় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়কে। আর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের পরিপূর্ণতা দিতেই লাল ইট দিয়ে ক্যাম্পাসের সঙ্গে মানানসই ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। এখানে ছোট বড় অনেক লেক থাকলেও সেগুলোর অবস্থা করুণ। প্রশাসনের অবহেলার কারণেই লেকের এই সৌন্দর্য নষ্ট হচ্ছে বলে জানা গেছে।সরেজমিনে দেখা গেছে, বিশমাইলে দীর্ঘ একটি লেক, লেকের বিপরীত পার্শ্বে রয়েছে পুকুর, নতুন কলা ভবন ও টিচার্স ক্লাবের মাঝখানে লেক, আল বেরুনী হলের পাশে লেক, ট্রান্সপোর্টের সামনে লেক, জহির রায়হান অডিটোরিয়ামের সামনে দুটি পুকুর, সুইমিং পুলের পাশে লেক, মীর মশাররফ হোসেন হলের সামনের লেক নানা রকম পট, কচুরিপানা, ঘাস এ পরিপূর্ণ হয়ে গেছে। বিভিন্ন সময় এ সকল লেক কচুরিপানায় ভরে যাওয়ার কারণে মাছসহ নানা রকম জীববৈচিত্র হুমকির মুখে পড়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।কচুরিপানার কারণে এসব লেকের সৌন্দর্য নষ্ট হচ্ছে বহুগুণে। স্বচ্ছ জলধারা আর কচুরিপানা থাকায় ক্যাম্পাসের সৌন্দর্য ও লেকের সৌন্দর্য নষ্ট হচ্ছে বলে অভিযোগ করছেন ক্যাম্পাসে ঘুরতে আাসা প্রকৃতিপ্রেমী ও ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীরা। লেকে ময়লা পানির কারণে মশা প্রচুর পরিমাণে বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন পাশের আবসিক হল, বিভিন্ন অনুষদ, কোয়ার্টারের বাসিন্দারা।দর্শন বিভাগের অধ্যাপক মুহম্মদ তারেক চৌধুরী তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের অন্যতম সৌন্দর্য লেক। ক` দিন পরেই পরিযায়ী পাখি দেখতে পরিবার পরিজন বন্ধুদের নিয়ে ছুটে আসবেন জাবির প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা। কচুরিপানা ভরা লেক দেখে তারা কী আশাহত হবেন না? আমরা কী পারি না শিগগিরই পানা পুকুরে হারিয়ে যাওয়া লেকগুলো পুনরুদ্ধার করতে? তাছাড়া ক্যাম্পাসবাসীকে মশার অত্যাচার থেকে বাঁচাতেও তো কচুরিপানা পরিষ্কার করা জরুরি।এ সম্পর্কে জানতে চাইলে প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মোস্তফা ফিরোজ বলেন, অল্প কচুরিপানা থাকলে পাখির জন্য সমস্যা না। তবে যদি লেক ভরে যায় কচুরিপানায় তাহলে পাখি বসবে ন। এছাড়া এসব কচুরিপানার কারণে মশা বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে তিনি জানান। এস্টেট অফিসের কর্মকর্তা মো. নুরুল আমিন জাগো নিউজকে বলেন, আমরা বিশমাইল গেটের পুকুর পরিস্কার করতে পারছি না কারণ ওই পুকুরের লিজ আব্বাস আলী তালুকদার এর কাছে। তার কাছে আমরা লিজের ৪২ লাখ টাকা পায়। তিনি আইনগতভাবে তার টাকা বুঝিয়ে পুকুর আমাদের বুঝিয়ে দেয় নি। তার বিষয়ে সিন্ডিকেটে সিদ্ধান্ত পেন্ডিং আছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আবুল হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, লিজ দেয়া পুকুর আমাদের না। আমরা আমাদের পুকুরগুলো পরিস্কার রেখেছি। পুকুর লিজ দেয়ার পর পরিস্কার রাখার ব্যাপারে কোনো নিয়ম আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, নিয়ম তো আছে। এস্টেটকে জিজ্ঞাসা করে দেখব কেন এমন করে।এসএস/আরআইপি
Advertisement