সম্প্রতি গালওয়ান উপত্যকায় সংঘর্ষের ঘটনায় সেখানে নিয়োজিত সেনা সদস্যদের পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছে ভারত। এজন্য সেনাবাহিনীর রুলস অব এনগেজমেন্টে (আরওই) পরিবর্তন এনেছে দেশটি। ফলে বিরোধপূর্ণ ভারত-চীন সীমান্ত প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় (এলএসি) পরিস্থিতি বুঝে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে ভারতীয় সেনাবাহিনীর আর কোনো বাধা থাকল না।
Advertisement
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সেনাবাহিনীর দুই জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস।
ভারতীয় সেনাবাহিনীর একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেছেন, আওই-তে সংশোধনী আনায় কমান্ডারদের যেকোনো আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারের ক্ষেত্রে আর কোনো বাধা রইল না। তাই উপত্যকায় কোনো ধরনের অস্বাভাবিক পরিস্থিতি তৈরি হলেই পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে জবাব দেয়ার সব ধরনের স্বাধীনতা তাদের থাকবে।
৪৫ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম গত ১৫ জুন রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়েছে গালওয়ান উপত্যকায়। এই সংঘর্ষে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ২০ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন প্রায় অর্ধশতাধিক। একাধিক চীনা সেনাসদস্যও হতাহত হয়েছেন বলে ভারতের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে। যদিও এ বিষয়ে এখনো পর্যন্ত কিছু বলেনি চীন। এর প্রায় এক সপ্তাহ পর সেনাবাহিনীর রুলসে তাৎপর্যপূর্ণ পরিবর্তন আনল ভারত।
Advertisement
এর আগে গত শুক্রবার সর্বদলীয় এক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, সীমান্তে পরিস্থিতি বুঝে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সেনাবহিনীকে পূর্ণ স্বাধীনতা দেয়া হয়েছে।
ভারতীয় সেনাবাহিনীর একজন সেকেন্ড অফিসার হিন্দুস্তান টাইমসকে বলেছেন, আরওই সংশোধনীর ফলে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় (এলএসি) যখন যে ব্যবস্থা নেয়া অপরিহার্য বলে মনে হবে তা নিতে কমান্ডারদের আর কোনো বাধা থাকল না। গালওয়ান সীমান্তে চীনা সেনাবাহিনীর বর্বর যুদ্ধকৌশলের পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে আরওই-তে এই সংশোধনী আনা হয়েছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত ১৫ জুনের সংঘর্ষে রডে পেরেক দিয়ে বানানো এক ধরনের বিশেষ অস্ত্র ব্যবহার করে চীনা সেনাবাহিনী। এতে ভারতের সেনাবাহিনীর ২০ জন সদস্য নিহত হন। এছাড়া প্রায় অর্ধশতাধিক সেনাসদস্য এখনো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। তবে ওইদিন ভারতের সেনাবাহিনী কোনো যুদ্ধাস্ত্র ব্যবহার না করায় দেশটির অভ্যন্তরেই নানারকম আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে।
কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর অভিযোগ, ওইদিন নিরস্ত্র ছিলেন ভারতীয় সেনাবাহিনী। তবে সরকার বলেছে, দুই দেশের মধ্যে সীমান্ত চুক্তি থাকার কারণে অস্ত্রের ব্যবহার থেকে বিরত থেকে সেনা সদস্যরা।
Advertisement
এসআর/পিআর