কাশ্মীর অঞ্চলের লাদাখ সীমান্তের চীন ও ভারতের মধ্যে যে গালওয়ান উপত্যকায় দুই দেশে সেনাদের সংঘর্ষের ঘটেছিল সেই বিতর্কিত অঞ্চলটিকে সম্পূর্ণ নিজেদের বলে দাবি করেছে বেইজিং। চীন বলছে, ওই অঞ্চল পুরোপুরি তাদের ভূখণ্ডের মধ্যে পড়ে।
Advertisement
তবে চীনের এই দাবিকে সম্পূর্ণ নাকচ করে দিয়েছে ভারত। ভারত সরকার বলেছে, গালওয়ান উপত্যকার ওপর চীনের দাবি অগ্রহণযোগ্য এবং অতীতে এ বিষয়ে দেশটির অবস্থানের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়।
গত সোমবারের ওই সংঘর্ষে ভারতের ২০ সেনা নিহত হয় এবং ৭৬ সেনা এখন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। পরে ভারত দাবি করে, এ সংঘর্ষে চীনের ৪০ জন সদস্য সেনা নিহত হয়েছে। ওই সংঘাতের জন্য নয়াদিল্লিকে দোষারোপ করে আসছে বেইজিং। সীমান্তে দুই পক্ষের প্রাণঘাতী সংঘর্ষ নিয়ে প্রথম সরকারি প্রতিক্রিয়ায় ভারতীয় সেনাদের বিরুদ্ধে ‘ইচ্ছাকৃত উস্কানির’ অভিযোগও তোলে চীন।
তবে ভারত বলেছে, গালওয়ান উপত্যকার অবস্থান ঐতিহাসিকভাবেই পরিষ্কার। তবে বর্তমানে চীনের পক্ষ থেকে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার (এলএসি) বিষয়ে ‘অতিরঞ্জিত ও অসমর্থনীয়’ যে দাবি তোলা হয়েছে তা অগ্রহণযোগ্য।
Advertisement
গত ১৫ জুন ওই উপত্যকায় সংঘর্ষের পর এ পর্যন্ত তিনবার উপত্যকাটি নিজেদের বলে দাবি করেছে বেইজিং। তবে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া বলছে, এই প্রথম পুরো উপত্যকাটি নিজেদের দাবি করল চীন। এর আগে সম্পূর্ণ উপত্যকার দাবি করেনি দেশটি।
এর আগে শুক্রবার চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ঝাও লিঝিয়ান টুইট করে জানান, লাদাখের মালিকানা বিরোধপূর্ণ। ওই অঞ্চলের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর চীন-ভারত সীমান্তের গালোয়ান উপত্যকা দীর্ঘদিন ধরেই চীনের অংশ। সেখানে এর আগে থেকেই চীনা সেনারা নিয়মিত টহল দিয়ে এসেছে।
ধারাবাহিক কয়েকটি টুইটে গালওয়ান উপত্যকার অবস্থান প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার (এলএসি) চীনা অংশে বলে দাবি করা ছাড়া ঝাও আরও বলেছেন, গালওয়ান উপত্যকা পরিস্থিতি যখন প্রায় স্বাভাবিক তখন ভারতীয় সেনারা ইচ্ছাকৃতভাবে উস্কানি দিতে আবার প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা অতিক্রম করে।
গালওয়ান সংঘর্ষ নিয়ে চীনের অবস্থান তুলে ধরে তিনি বলেন, চীনা সেনা ও কর্মকর্তারা আলোচনার জন্য গেলে সীমান্তে মোতায়েন করা ভারতীয় সেনা সদস্যরা তাদের ওপর চড়াও হয়। এসময় দুইপক্ষে হাতাহাতি লড়াইয়ের সূত্রপাত হয়, যার ফলেই হতাহতের ঘটনা ঘটে।
Advertisement
সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া
এসআর