কিশোরগঞ্জে একদিনে আরও ৯২ জন করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ১ হাজার ২২০ জনে। এছাড়া আরও দুজনসহ মোট ২৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৪১৮ জন। আর ৭৮৯ জন আইসোলেশনে আছেন।
Advertisement
জেলার সিভিল সার্জন ডা. মো. মুজিবুর রহমান জানান, গত ১৩, ১৪ ও ১৫ জুন ঢাকা ও কিশোরগঞ্জের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে মোট ৪৫৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায় ২২ জন, করিমগঞ্জে ৩ জন, তাড়াইলে ২ জন, পাকুন্দিয়ায় একজন, কটিয়াদীতে ৫ জন, কুলিয়ারচরে ৬ জন, ভৈরবে ৩৬ জন, নিকলীতে একজন, বাজিতপুরে ১৩ জন, ইটনায় একজন ও মিঠামইন উপজেলায় একজনের করোনা শনাক্ত করা হয়।
কিশোরগঞ্জে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে বাড়ছে। চিকিৎসক, পুলিশ, সরকারি কর্মকর্তাসহ সবাই এই প্রাণঘাতী ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছেন। জেলার সবকটি উপজেলায় করোনার সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে। তবে ভৈরব উপজেলায় সংক্রমণের হার সবচেয়ে বেশি। এ পর্যন্ত ভৈরবে ৪৬০ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর পরই কিশোরগঞ্জ জেলা সদরে ২২৭ জন আক্রান্ত হয়।
এছাড়া জেলার হোসেনপুর উপজেলায় ২৫ জন, করিমগঞ্জ উপজেলায় ৮০ জন, তাড়াইল উপজেলায় ৬৮ জন, পাকুন্দিয়া উপজেলায় ৫২ জন, কটিয়াদী উপজেলায় ৬৬ জন, কুলিয়ারচর উপজেলায় ৮৬ জন, নিকলী উপজেলায় ১৮ জন, বাজিতপুর উপজেলায় ৭৭ জন, ইটনা উপজেলায় ২৫ জন, মিঠামইন উপজেলায় ২৮ জন ও অষ্টগ্রাম উপজেলায় ৮ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
Advertisement
আক্রান্তদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে ভৈরবে; ৮ জন এবং কিশোরগঞ্জ সদরে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া হোসেনপুর উপজেলায় একজন, করিমগঞ্জে ২ জন, কটিয়াদীতে একজন, কুলিয়ারচরে একজন, নিকলীতেকে একজন, বাজিতপুরে একজন ও মিঠামইন উপজেলায় একজনের মৃত্যু হয়েছে।
নূর মোহাম্মদ/এমএসএইচ