দেশজুড়ে

করোনা নিয়ে রোগী দেখা সেই চিকিৎসকসহ ১৩ জন বাড়ি ফিরলেন

করোনা আক্রান্ত হয়ে রোগী দেখা সেই চিকিৎসক ডা. আহসান হাবীবসহ আরও ১৩ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। শনিবার (২০ জুন) দুপুরে রংপুরের ডেডিকেটেড করোনা আইসোলেশন হাসপাতাল থেকে ১১ জনকে এবং শুক্রবার দুইজনকে ছাড়পত্র দেয়া হয়। এ নিয়ে এই হাসপাতাল থেকে ১২৪ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেন।

Advertisement

শনিবার ছাড়পত্রপ্রাপ্তরা হলেন, মিঠাপুকুরের বাসিন্দা আনসার আলী, পীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নার্স রিক্তা বেগম, রংপুর শহরের বাসিন্দা মিজানুর রহমান, শেফালী, শওকত আলী, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আনিসুজ্জামান লিটন, পুলিশ সদস্য জাহিদ সরোয়ার, বিশিষ্ট অর্থোপেডিকস বিশেষজ্ঞ ডা. মশিউর রহমান, বগুড়া শহরের বাসিন্দা সামিউল হক এবং গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের শ্রী মনোরঞ্জন ও সাধন চন্দ্র।

এছাড়া শুক্রবার (১৯ জুন) সন্ধ্যায় ডা. আহসান হাবীব ও রংপুর মেডিকেলের নার্স রুহুল আমিনকে ছাড়পত্র দেয়া হয়।

বিদায় নেয়ার সময় হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কসহ চিকিৎসকরা তাদেরকে ফুল ও চিঠি দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।

Advertisement

ডেডিকেটেড করোনা আইসোলেশন হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. এস.এম নূরুন নবী জানান, আনসার আলী গত ৬ জুন, মিজানুর, সামিউল ৭ জুন, ডা. মশিউর ৮ জুন, সাধন, মনোরঞ্জন ও রিক্তা বেগম ১০ জুন, শেফালী, জাহিদ, শওকত আলী, আনিসুজ্জামান লিটন ও ডা. আহসান হাবীব গত ১১ জুন করোনা আইসোলেশন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন।

তিনি আরও জানান, রোগীদের শরীরে কোভিড-১৯ এর উপসর্গ না থাকায় এবং পরপর দুইবার নমুনা পরীক্ষা করে নেগেটিভ রিপোর্ট পাওয়ায় তাদের ছাড়পত্র প্রদান করা হয়েছে।

হাসপাতাল চালু হবার পর থেকে এ পর্যন্ত ১৭৪ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন এবং ১২৪ জন এই হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন।বর্তমানে হাসপাতালে ৪১ জন কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এদের মধ্যে ৩ জন আইসিইউ এ ভর্তি আছেন।

প্রসঙ্গত, ২ জুন নমুনা জমা দিয়ে চেম্বারে রোগী দেখা অব্যাহত রাখেন রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সাবেক সহযোগী অধ্যাপক ডা. আহসান হাবীব। পরে ১০ জুন রাতে তার রিপোর্ট এলে তিনি করোনা আক্রান্ত বলে শনাক্ত হন। ১১ জুন চেম্বারে গেলে বিষয়টি জানাজানি হয়। পরে ওইদিনই ডেডিকেটেড করোনা আইসোলেশন হাসপাতালে ভর্তি হন ডা. আহসান হাবীব।

Advertisement

জিতু কবীর/এমএএস/জেআইএম