লাদাখের গালওয়ান সীমান্ত নিয়ে উত্তেজনা চলছে ভারত ও চীনের মধ্যে। গত সোমবার রাতে গালওয়ান উপত্যকায় প্রতিবেশী চীনা সৈন্যদের সঙ্গে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে ভারতের অন্তত ২০ সেনার প্রাণহানি ঘটে।
Advertisement
গালওয়ান উপত্যকায় সংঘর্ষের জেরে কূটনৈতিক-সামরিক পর্যায়ে টানা বৈঠকের পরেও সীমান্তে উত্তেজনা কমেনি চীন-ভারতের মধ্যে। বরং দুই পক্ষই চূড়ান্ত নিয়ন্ত্রণরেখা (এলএসি) বরাবর সামরিক শক্তি বাড়িয়ে চলেছে।
ইতোমধ্যে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, চীন সীমান্তবর্তী ঘাঁটিগুলোতে আরও যুদ্ধবিমান পাঠিয়েছে ভারত। পাশাপাশি বর্ধিত বঙ্গোপসাগর এলাকায় রণতরীগুলোকেও তৈরি রাখা হয়েছে।
লাদাখে অত্যাধুনিক অ্যাপাচে হেলিকপ্টার মোতায়েন করেছে ভারত, যাতে রয়েছে ট্যাংকবিধ্বংসী মিসাইল ও রকেট। এছাড়া দুর্গম অঞ্চলে সৈন্য পরিবহনে চিনোক হেভি-লিফট হেলিকপ্টারও পাঠানো হয়েছে সেখানে।
Advertisement
এদিকে থেমে নেই চীনও। দেশটির পিপলস লিবারেশন আর্মিও (পিএলএ) সেনা সরঞ্জাম বাড়াচ্ছে ভারত সীমান্তে। তারা প্যানগং লেকের উত্তর তীর বরাবর কয়েক ডজন ঘাঁটি বসিয়েছে। এছাড়া তিব্বতের হোতান ও কাশগড় বিমানঘাঁটিতে অত্যাধুনিক জে-১১ ও জে৮ যুদ্ধবিমান মোতায়েন করেছে বেইজিং।
এরই মধ্যে খবর পাওয়া যাচ্ছে, দুই দেশের মধ্যে বিবাদমান আরেক সীমান্ত ডোকলামেও উত্তেজনা বাড়ছে। ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গালওয়ান নিয়ে অশান্তির মধ্যেই ডোকলামে আসে চীনা লাল ফৌজ। কার্যত বলা যায় ডোকলামে টহল দিয়ে গেছে চীনা সেনা।
ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাতে দেশটির সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, সেখানে চীনা ফৌজের দলবল প্রায় ৩০ মিনিট অবস্থান নিয়েছিল। ভুটান সেনার আউটপোস্টে তারা সময় কাটায়। এরপর ডোকলাম পর্যন্ত এগিয়ে আসে। সেখানকার ভূ-কৌশলগত বেশ কয়েকটি ছবিও চীনা বাহিনী তোলে বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে বিতর্কিত ডোকলামে চীনের সেনাবাহিনীর সড়ক নির্মাণকে কেন্দ্র করে দুই দেশের সামরিক বাহিনী মুখোমুখি অবস্থান নেয়। ৭৩ দিনের ব্যাপক সামরিক উত্তেজনার অবসানের আগে দুই দেশের সেনাবাহিনী ডোকলামে হাতাহাতিতেও জড়িয়ে পড়ে। পরে উভয় দেশের আগ্রহে ওই বছরের ২৮ আগস্ট ডোকলাম টানাপোড়েনের অবসান ঘটে।
Advertisement
বিএ/এমকেএইচ