দেশজুড়ে

করোনাভাইরাসে বগুড়ায় আরও তিনজনের মৃত্যু

বগুড়ায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এক কৃষকের মৃত্যু হয়।

Advertisement

পাশাপাশি সরকারি মোহাম্মদ আলী হাসপাতাল থেকে বেসরকারি টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে মৃত্যু হয় এক আইনজীবী সহকারীর এবং টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এক পল্লী চিকিৎসকের মৃত্যু হয়।

মৃত কৃষকের নাম জালাল উদ্দিন প্রামাণিক (৫৫)। তার বাড়ি গাবতলী উপজেলার কাগইল ইউনিয়নের দেওয়ানপুর গ্রামে। শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেলে শুক্রবার রাত ৮টায় মারা যান তিনি।

হাসপাতালের উপ-পরিচালক আবদুল ওয়াদুদ বলেন, বিভিন্ন উপসর্গ নিয়ে জালাল উদ্দিনকে মঙ্গলবার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। নমুনা সংগ্রহ করে হাসপাতালের পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হয়। নমুনা পরীক্ষায় শুক্রবার তিনি করোনায় সংক্রমিত হিসেবে শনাক্ত হন। ওই দিন রাতে তার মৃত্যু হয়।

Advertisement

মারা যাওয়া আইনজীবী সহকারীর নাম নূরুল ইসলাম (৫৩)। তিনি বগুড়া শহরের কাটনারপাড়া আলোর মেলা স্কুল সংলগ্ন একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন। গ্রামের বাড়ি বগুড়া সদর উপজেলার এরুলিয়া ঘোলাগাড়ি এলাকায়।

নূরুল ইসলামের ছেলে সাদিকুল ইসলাম বলেন, আমার বাবা জ্বর, কাশিসহ বিভিন্ন উপসর্গে ভুগছিলেন। ১২ জুন টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ল্যাবে নমুনা পরীক্ষায় তিনি করোনায় আক্রান্ত বলে শনাক্ত হন। এরপর বাড়িতে আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে তার শ্বাসকষ্ট বেড়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে সরকারি মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে একজন চিকিৎসক দেখার পর টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পরামর্শ দেন। এরপর অ্যাম্বুলেন্সে ওই হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

শনিবার ভোরে বেসরকারি টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পল্লী চিকিৎসক নূরুল মোমিন মারা যান। তার বাড়ি বগুড়া শহরের ফুলবাড়ি এলাকায়।

টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুর রহিম বলেন, নূরুল মোমিন প্রায় এক সপ্তাহ ধরে বিভিন্ন উপসর্গে ভুগছিলেন। করোনা পরীক্ষার জন্য ১৫ জুন তিনি হাসপাতালে নমুনা দেন। নমুনা পরীক্ষায় ১৬ জুন তিনি করোনা পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হন। দুইদিন বাসায় আইসোলেশনে থাকার পর অবস্থার অবনতি ঘটে। এ অবস্থায় বৃহস্পতিবার রাতে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শনিবার ভোরে তার মৃত্যু হয়। করোনা পজিটিভ হয়ে মারা যাওয়া তিনজনের মরদেহ কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের স্বেচ্ছাসেবকদের সহযোগিতায় দাফন করা হয়েছে।

Advertisement

এএম/জেআইএম