বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মহাপরিচালক শুক্রবার বলেছেন, বৃহস্পতিবার বিশ্বে একদিনে প্রথমবার আক্রান্তের সংখ্যা দেড় লাখ ছাড়িয়ে গেছে। একইদিনে ব্রাজিলে আক্রান্তের সংখ্যা দশ লাখ ছাড়াল। দেশটিতে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ২৬ হাজারের বেশি মানুষ করোনা পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন।
Advertisement
করোনার সার্বক্ষণিক পরিসংখ্যান প্রদানকারী ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারের সবশেষ হিসাব বলছে, ব্রাজিলে করোনায় আক্রান্ত হিসেবে শনাক্তের সংখ্যা এখন ১০ লাখ ৯ হাজার ৬৯৯ জন। এ সময়ে নতুন করে আরও ৫৫৮ জনের মৃত্যুর পর দেশটিতে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা এখন ৪৮ হাজার ৯৫৪ জন।
আক্রান্ত ও মৃত্যুতে শীর্ষে থাকা দেশগুলোর মধ্যে ব্রাজিলের অবস্থান এখন দ্বিতীয়। যুক্তরাষ্ট্রের আক্রান্ত প্রায় ২৩ লাখ ও মৃত্যু ১ লাখ ২১ হাজার এর বেশি। যুক্তরাষ্ট্রের পরই রয়েছে লাতিন অঞ্চলের বৃহত্তম দেশ ব্রাজিল। সেখানে সংক্রমিত মানুষের সংখ্যা আরও অনেক বাড়বে বলে আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের।
দেশটিতে করোনার আক্রান্ত প্রথম রোগী শনাক্ত হয় ২৬ ফেব্রুয়ারি। প্রাদুর্ভাব শুরুর প্রথমদিকে দেশটিতে ভাইরাসটির প্রকোপ ততটা না ছড়ালেও মে ও জুন থেকে প্রকোপ বাড়তে থাকে। দেশটির কট্টর ডানপন্থী প্রেসিডেন্ট এর ভাইরাসকে সামান্য ফ্লু বলে অভিহিত করার মাশুল দিতে হচ্ছে পুরো ব্রাজলিকে।
Advertisement
প্রেসিডেন্ট জায়ের বোলসোনারো লকডাউন কড়াকড়ি করার দায়ে ইতোমধ্যে তার দুই স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে বরখাস্ত করেছেন। তার সরকার সস্প্রতি ভাইরাসটি নিয়ে তথ্য দেওয়া বন্ধ করে। পরে অবশ্য সমালোচনার মুখে আবার করোনা বিষয়ক তথ্য প্রদানের বিষয়টি শুরু হয়।
অর্থনৈতিক কার্যক্রম পুনরায় চালুর জন্য মরিয়া এই প্রেসিডেন্ট দেশের লকডাউন শিথিল করার ঘোষণা দেন। অথচ এই সময়ে ভাইরাসটির সংক্রমণ বাড়তে শুরু করে আশঙ্কাজনক হারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, লকডাউন সংক্রান্ত বিধিনিষেধ শিথিল হওয়ায় সংক্রমণ বেড়েছে এটা আরও বাড়তে থাকবে বলে শঙ্কা তাদের।
ডব্লিউএইচও মহাপরিচালক তেদ্রোস আধানম গ্যাব্রিয়েসুস শুক্রবার এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এমন তথ্য দিয়ে বলেন, ‘গোটা বিশ্ব এখন একটি নতুন এবং বিপজ্জনক পর্যায়ে রয়েছে। গত একদিনে যে দেড় লাখ মানুষ শনাক্ত হয়েছে তাদের মধ্যে প্রায় অর্ধেকই হলো আমেরিকা অঞ্চলের।’
এসএ
Advertisement