জাতীয়

বিএসএমএমইউর প্রতি কৃতজ্ঞতা, সুপারিশের বাস্তবায়ন চান জাফরুল্লাহ

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র উদ্ভাবিত করোনাভাইরাস পরীক্ষার কিট ‘র‍্যাপিড ডট ব্লট’র কার্যকারিতা পরীক্ষা করায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) কারিগরি কমিটির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন প্রতিষ্ঠানটির ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। এছাড়া পরীক্ষার পর তাদের কারিগরি কমিটির করা সুপারিশ বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছেন তিনি।

Advertisement

শুক্রবার (১৯ জুন) সন্ধ্যায় গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ এবং গণস্বাস্থ্যের জি আর কোভিড-১৯ ডট ব্লট কিট প্রকল্পের সমন্বয়কারী ডা. মুহিব উল্লাহ খোন্দকার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব বলেন জাফরুল্লাহ।

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, ‘এটা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী। গণস্বাস্থ্যের নামকরণ এবং স্থাপনের জন্য জমি অধিগ্রহণ করে দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু নিজেই। আবার বঙ্গবন্ধুর নামে প্রতিষ্ঠিত বিএসএমএমইউর কারিগরি বিশেষজ্ঞ দল গণস্বাস্থ্যের উদ্ভাবিত কিটের কার্যকারিতার প্রমাণ পেয়েছেন। বিএসএমএমইউর কারিগরি কমিটি গণস্বাস্থ্য আরএনএ বায়োটেক লিমিটেড উদ্ভাবিত অ্যান্টিবডি কিটের সুপারিশের জন্য কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। আশা করি, ওষুধ প্রশাসন জরুরিভাবে সার্বিক করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় এনে সুপারিশগুলো বাস্তবায়ন করবেন এবং দ্রুত নিবন্ধন ও বিপণনের অনুমতি দেবেন।’

তিনি বলেন, ‘কত শতাংশ কার্যকারিতা বৈজ্ঞানিক আলোচনার বিষয়। কিটের উন্নয়ন একটি চলমান বিষয়। এ বিষয়ে আমরা বিএসএমএমইউর ক্রমাগত সহায়তা চাইছি। তারা অ্যান্টিজেন কিটটি দ্রুত পরীক্ষা করে দিক। তবে বিএসএমএমইউ আনুষ্ঠানিকভাবে যা বলেছে, সেটাই হোক ভিত্তি। সতর্ক থাকতে হবে, লাল ফিতা যাতে ক্ষণকাল হরণ করতে না পারে।’

Advertisement

গণস্বাস্থ্য ও বিএসএমএমইউ যৌথভাবে জাতির এক মহাদুর্যোগের দিনে ১৭ কোটি মানুষের জীবনে সরাসরি একটি সুসংবাদ বয়ে এনেছে। সবাই অভিনন্দন প্রাপ্য। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিশ্চয় একটি আশা নিয়ে গণস্বাস্থ্যের জন্য কতগুলো বিশেষ ব্যবস্থা নিয়ে দিয়েছিলেন, সেটা ফলপ্রসূ হয়েছে বলেও জানান জাফরুল্লাহ।

গণস্বাস্থ্যের এই ট্রাস্টি আরও বলেন, ‘পত্রিকার মাধ্যমে জানতে পেরেছি, ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান বলেছিলেন, ইতিবাচক প্রতিবেদন পেলে তিনি নিবন্ধন দেবেন। এমনকি বিশেষজ্ঞ কমিটিতেও পাঠাবেন না। এটাই যৌক্তিক। আমরা ওষুধ প্রশাসনের দ্রুত সিদ্ধান্তের অপেক্ষায়।’

এদিকে, গত বুধবার (১৭ জুন) বিএসএমএমইউর অধ্যাপক শাহিনা তাবাসসুমের নেতৃত্বে পারফরম্যান্স কমিটি গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের অ্যান্টিজেন্ট কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষা করে উপাচার্যে কাছে প্রতিবেদন জমা দেয়। ওই দিন উপাচার্য কনক কান্তি বড়ুয়া সংবাদ সম্মেলনে জানান, গণস্বাস্থ্যের কিট করোনা শনাক্তে কার্যকর নয়

তিনি বলেছিলেন, ‘করোনা উপসর্গ নিয়ে আসা রোগীদের রোগ শনাক্তকরণের গণস্বাস্থ্যের কিট কার্যকরী নয়। তিনি বলেন, উপসর্গের প্রথম দুই সপ্তাহে (তাদের) কিট ব্যবহার করে শুধুমাত্র ১১ থেকে ৪০ শতাংশ রোগীর করোনা শনাক্তকরণ সম্ভব।’

Advertisement

গত ৩০ এপ্রিল গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রকে বিএসএমএমইউতে কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষার অনুমতি দেয় ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর। তারা কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষার জন্য বিএসএমএমইউকে চিঠি দেয়। গত ২ মে বিএসএমএমইউর কর্তৃপক্ষ কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষা করতে ছয় সদস্যের কমিটি গঠন করে। পরে বিএসএমএমইউতে কিট জমা দেয় গণস্বাস্থ্য।

পিডি/এফআর/পিআর