দেশজুড়ে

করোনার উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসক এমদাদ উল্লাহ খান’র মৃত্যু

করোনার উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সরকারি সদর (জেনারেল) হাসপাতালের চর্ম ও যৌন বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট চিকিৎসক এমদাদ উল্লাহ খানের (৫৮) মৃত্যু হয়েছে।

Advertisement

শুক্রবার (১৯ জুন) বিকেল ৫টা ৩৫ মিনিটে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) তার মৃত্যু হয়।

চিকিৎসক এমদাদ উল্লাহ খান পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার মজিদ আহম্মেদ খানের ছেলে। এমদাদ উল্লাহ পরিবার নিয়ে বরিশাল নগরীর অক্সফোর্ড মিশন রোডে বসবাস করতেন। তিনি দুই ছেলের জনক ছিলেন।

বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. এস এম বাকির হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, জ্বর, কাশি ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে বৃহস্পতিবার বিকেলে হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ভর্তি হন চিকিৎসক এমদাদ উল্লাহ। শুক্রবার সকালে তার শ্বাসকষ্ট বেড়ে গেলে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) স্থানান্তর করা হয়। সেখানে বিকেল ৫টা ৩৫ মিনিটে তার মৃত্যু হয়। তিনি করোনায় আক্রান্ত ছিলেন কিনা তা জানার জন্য নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য মেডিকেল কলেজের ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট এখনও আসেনি।

Advertisement

শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চর্ম ও যৌন রোগ বিভাগের প্রধান চিকিৎসক বিপ্লব কুমার দাস জানান, চিকিৎসক এমদাদ উল্লাহ আমার পরিচিত ছিলেন। তিনি শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজের ১২তম ব্যাচের ছাত্র ছিলেন। করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও তিনি হাসপাতালে নিয়মিত রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছিলেন। তিনদিন আগে জ্বরে আক্রান্ত হন। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে জ্বরের সঙ্গে তার শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। তিনি ডায়াবেটিসেও আক্রান্ত ছিলেন। এরপর বিকেলে তাকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছিল। শুক্রবার বিকেলে সেখানে তার মৃত্যু হয়। করোনা ইউনিটে চিকৎসকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে ভর্তির পর তার এক্সেরে করানো হয়েছিল। এক্সেরে রিপোর্টে তার ফুসফুসে ইনফেকশন ধরা পড়ে।

চিকিৎসক বিপ্লব কুমার দাস আরও জানান, ধারণা করা হচ্ছে চিকিৎসক এমদাদ উল্লাহ খান রোগীদের চিকিৎসা দিতে গিয়েই আক্রান্ত হয়েছিলেন। উপসর্গ একটু দেরিতে দেখা দিয়েছে। চিকিৎসক হিসেবে তার সুনাম ছিল। তার মৃত্যুতে চিকিৎসকরা শোকাহত। করোনাকালে আমরা একজন যোদ্ধাকে হারালাম। আমরা তার আত্মার শান্তি কামনা করছি।

সাইফ আমীন/এসএএস/জেআইএম

Advertisement