করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার দ্বিতীয় দিনের মাথায় নিয়ম ভেঙে আসামিসহ অস্ত্র উদ্ধার অভিযানে যাওয়ায় নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুস সামাদকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। একই সঙ্গে তার স্থলে ওই থানায় নতুন ওসি গিয়াস উদ্দিনকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
Advertisement
জানা যায়, বুধবার (১৭ জুন) মাদরাসা ছাত্র আবুল বাশার ওরফে সাইমন হত্যা মামলার প্রধান আসামি মীর হোসেন ওরফে মীরাকে ঢাকার কদমতলী থানার মোহাম্মদবাগ এলাকা থেকে গ্রেফতার করে সোনাইমুড়ী থানা পুলিশের একটি দল। পরে থানার ওসি আবদুস সামাদ আইসোলেশন থেকে বের হয়ে ওই আসামিকে নিয়ে অস্ত্র উদ্ধারে যান।
এ সময় ওসিসহ অন্য পুলিশ সদস্যদের উপস্থিতিতে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি টিপ ছোরা উদ্ধার করা হয়। অভিযানের সময় আসামি ছাড়াও একাধিক পুলিশ সদস্য ওসির সংস্পর্শে আসেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, করোনা আক্রান্ত হয়েও ওসির সরকারি আইন অমান্য করে প্রকাশ্যে ঘোরাঘুরির কারণে এ উপজেলায় করোনা সংক্রমণ ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়বে। সাধারণ জনগণও ওসির এমন আচরণে উৎসাহিত হবে। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও গণমাধ্যমে উঠে এলে তাকে জেলা কোভিড-১৯ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
Advertisement
এর আগে ওসি আব্দুস সামাদ জ্বর, সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত হলে ৯ জুন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে পরীক্ষার জন্য নমুনা দেন। পরে ১৫ জুন তার করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসে এবং থানা ভবনের নিজ কক্ষে আইসোলেশনে চলে যান।
এ বিষয়ে জেলা পুলিশ সুপার মো. আলমঙ্গীর হোসেন জানান, ওসি করোনায় আক্রান্ত হয়েও আইসোলেশনে না থেকে বাইরে গিয়ে আসামি নিয়ে অভিযানে গিয়ে অন্যায় করেছেন এবং অন্যদের ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছেন। তাই তাকে প্রত্যাহার করে নোয়াখালী কোভিড হাসপাতালে আইসোলেশনে পাঠানো হয়েছে। নতুন ওসি হিসেবে মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিনকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, সোনাইমুড়ী থানায় ওসি হিসেবে দ্বিতীয় মেয়াদে ২০১৮ সালের ১২ ডিসেম্বর আবদুস সামাদ যোগদান করেন। এর আগে তিনি আরো একবার ওই থানায় ওসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
মিজানুর রহমান/এফএ/পিআর
Advertisement