কক্সবাজার পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের কুতুবদিয়াপাড়া এলাকার সড়কটি বর্ষার সময় তলিয়ে যায়। ফলে জন ভোগান্তি লাঘবে সেখানে নির্মাণ করা হচ্ছিল একটি কালভার্ট। ইতোমধ্যে কাজ প্রায় শেষ হয়েছে। বাকি ছিল অ্যাপ্রোচ সড়কের কাজ। এরই মধ্যে গত দুইদিনের ভারি বর্ষণে পানির স্রোত আস্ত কালভার্টটি ভাসিয়ে নিয়ে গেছে।
Advertisement
বৃষ্টির পানিতে ভেসে যাওয়া কালভার্টটি নির্মাণ করেছিলেন কক্সবাজার পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এস আই এম আক্তার কামাল আজাদ। নিয়ম না থাকলেও পৌরসভার দরপত্রে সেতুটির নির্মাণ কাজ পেয়েছিলেন ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলরই।
স্থানীয়রা জানান, গত দুই বছর বর্ষার সময় নৌকা করেই ঝুঁকি নিয়ে পার হয়েছে আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা। কিন্তু কালভার্টটি হচ্ছে দেখে সবাই কাউন্সিলরের প্রতি কৃতজ্ঞ হয়েছিল। কাউন্সিলর নিজে কাজটি করায় অতি দ্রুত সময়ে কালভার্টটির নির্মাণ কাজ শেষ হয়। সংযোগ সড়ক তৈরিটা বাকি ছিল। তা শেষ করে আগামী মাসেই আনুষ্ঠানিকভাবে এর উদ্বোধন হওয়ার কথা ছিল।
পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আতিকুল্লাহ কোম্পানি বলেন, কালভার্টটি নির্মাণে কোনো রড ব্যবহার করা হয়নি। ফলে বুধবার (১৭ জুন) বিকেলের দিকে কালভার্টটি বৃষ্টির পানিতে ভেসে একপাশ তলিয়ে গেছে। ওপরে যে অংশ দেখা যাচ্ছে তাতে কোনো রড দিয়েছে বলে মনে হচ্ছে না। শুধু সিমেন্ট আর বালুর উপস্থিতি রয়েছে।
Advertisement
তিনি বলেন, ভেঙে যাওয়া কালভার্টটি থেকে মাত্র ৪০ ফুট দূরে জাপানের দাতা সংস্থা জাইকার অর্থায়নে আরও একটি ব্রিজ তৈরি হচ্ছে। অনবরত ভারি বর্ষণের পানির তোড়েও সেটি অক্ষত অবস্থায় রয়েছে। নির্মাণ কাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার হওয়ায় কালভার্টটির এমন দশা হয়েছে।
কক্সবাজার পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আক্তার কামাল আজাদ বলেন, সাগরের পানি যাতে ব্রিজের গোড়ায় না আসে সে জন্য আমরা একটা বাঁধ দিয়েছিলাম। প্রচণ্ড বৃষ্টিতে বাঁধের মধ্যে সাত-আট ফুট পানি জমে যায়। পানি সরানোর জন্য বাঁধটির একটা অংশ কেটে দিলে স্রোত সৃষ্টি হয়। সেই স্রোতে কালভার্টটি ভেঙে গেছে।
সায়ীদ আলমগীর/আরএআর/এমএস
Advertisement