অর্থনীতি

প্রণোদনার ঋণ দ্রুত ছাড়ের নির্দেশ

করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) প্রাদুর্ভাবে অর্থনৈতিক ক্ষতি মোকাবিলায় ঘোষিত বিশেষ প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় ঋণগ্রহীতাদের আবেদন কম সময়ের মধ্যে যাচাই-বাছাই করে দ্রুত বিতরণের ব্যবস্থা করার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। একই সঙ্গে নির্ধারিত বিধি-বিধানের আলোকে যদি ঋণ প্রদান সম্ভব না হয় তাহলে স্বল্প সময়ের মধ্যেই আবেদনকারীকে বিষয়টি জানাতে হবে।

Advertisement

বৃহস্পতিবার (১৮ জুন) বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত এক সার্কুলার জারি করা হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, ঋণ আবেদনকারীদের সহায়তা করতে প্রতিটি শাখায় আবশ্যিকভাবে একটি স্বতন্ত্র হেল্প ডেস্ক গঠন করতে হবে এবং সহজে দৃষ্টিগোচর হয় এমন স্থানে আর্থিক প্রণোদনা প্যাকেজ সংক্রান্ত তথ্যাদি প্রদর্শন করতে হবে। প্রণোদনা প্যাকেজসমূহের সার্বিক মনিটরিং কার্যক্রম ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীর সরাসরি তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হবে। দেশের এই কঠিন পরিস্থিতিতে অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে ব্যাংক কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ভূমিকা অগ্রগণ্য এবং অনস্বীকার্য। ব্যাংক কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সক্রিয় অংশগ্রহণ ব্যতীত দেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়ানো এবং জিডিপির কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জন সম্ভব হবে না। তাই ব্যাংক কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা অধিকতর উজ্জীবিত হয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক ঋণ প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়নে যাতে অগ্রগণ্য ভূমিকা পালন করতে পারে, সে লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সব উদ্যোগ গ্রহণ করার জন্য ব্যাংকসমূহকে নির্দেশনা প্রদান করা হলো।

সার্কুলারে বলা হয়েছে, করোনা প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড পুনরুজ্জীবিতকরণের লক্ষ্যে সরকার কর্তৃক এ পর্যন্ত ১ লাখ ৩ হাজার ১১৭ কোটি টাকার আর্থিক প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে। এসব প্যাকেজের মধ্যে রফতানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠানের জন্য বিশেষ তহবিল, কৃষি ভর্তুকি, বিনামূল্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ, গৃহহীন মানুষের জন্য গৃহনির্মাণ, বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর স্থগিত সুদের ওপর ভর্তুকিসহ সরকারের রাজস্ব খাত থেকে অর্থায়ন করা হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত কটেজ, মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা এবং শিল্প ও সার্ভিস সেক্টরের প্রতিষ্ঠানসমূহের জন্য ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল সুবিধা বাবদ যথাক্রমে ২০ হাজার কোটি ও ৩০ হাজার কোটি টাকার প্যাকেজ বাস্তবায়নে ব্যাংকের নিজস্ব তহবিল ব্যবহৃত হবে, যার বিপরীতে সরকার কর্তৃক সুদ ভর্তুকি প্রদান করা হবে।

Advertisement

এছাড়া দেশের ব্যাংকিং সেক্টরের তারল্যের অবস্থা স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে উল্লেখিত ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল সুবিধার বিপরীতে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক প্রি-শিপমেন্ট ক্রেডিট, নিম্ন আয়ের পেশাজীবী কৃষক/ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও কৃষি খাতসহ বিভিন্ন খাতে পুনঃঅর্থায়ন স্কিম চালু করা হয়েছে। এসব প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

এসআই/এমএসএইচ/এমকেএইচ