শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, সমাজে বর্বর ঘটনা ঘটে। বর্বরতা থাকলেও এখনও মানবিকতার পাল্লাই ভারি। বর্বরতাকে মানবিকতা দিয়েই রুখতে হবে। রাজন হত্যার মধ্য দিয়ে আমরা সেই শিক্ষা পেয়েছি। শুক্রবার রাত নয়টায় সিলেটের সার্কিট হাউসে ‘রাজন সংহতি’ আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী কয়েকজন বাংলাদেশির অর্থ সহায়তায় চার লাখ টাকার একটি শিক্ষাবন্ড রাজনের ছোট ভাই সাজনের জন্য পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেন শিক্ষামন্ত্রী। রাজন হত্যার প্রধান আসামি কামরুল ইসলামকে ইন্টারপোলের মাধ্যমে দেশে ফিরিয়ে আনায় পুলিশ বিভাগের প্রতি ধন্যবাদ জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী আরো বলেন, আমরা আশা করি চলতি মাসেই মামলার বিচারকার্য সম্পন্ন হবে। কামরুলকে ফিরিয়ে আনার মাধ্যমে অপরাধীরা সবাই বুঝবে অপরাধ করলে সে যেখানেই যাক ছাড় পাবেনা। এসময় তিনি প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়ার সকল সাংবাদিককে ধন্যবাদ জানান। আইনজীবী মোহাম্মদ আব্বাছ উদ্দিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও সিলেটের পিপি মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, সিলেট মহানগর পুলিশের কমিশনার মো. কামরুল আহসান, শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড. এম আমিনুল হক ভুইয়া, সিকৃবির ভিসি প্রফেসর ডা. গোলাম শাহী আলম, লিডিং ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. কবির হোসেন।সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন, সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি, বিটিভির আজিজ আহমদ সেলিম, সময় টেলিভিশনের ইকরামুল কবীর ও প্রথম আলো’র উজ্জ্বল মেহেদী।পিপি মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ বক্তৃতায় রাজন হত্যা মামলার বিচার দ্রুত হবে জানিয়ে বলেন, ‘সকল খুনিদের গ্রেফতার করে দ্রুত বিচার দাবি ছিল জনগণের। সরকার এ দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আশ্বাস দিয়েছিল। সরকারের একটি প্রতিশ্রুতিরও বাস্তবায়ন ঘটতে চলেছে। আমরা আশা করি চলতি মাসেই রাজনের বিচার সম্পন্ন হবে।’পুলিশ কমিশনার কামরুল আহসান শিক্ষাবন্ড দাতাদের আড়ালে থাকার বিষয়টি আজকের সমাজে বিরল আখ্যায়িত করে বলেন, ‘প্রকৃত দাতারা এমনই। তারা আড়ালে থাকতেই ভালোবাসেন। চার লাখ টাকার শিক্ষাবন্ড দিয়ে প্রকৃত দাতার পরিচয় দিলেন তারা। তাদের প্রতি আমাদের কৃতজ্ঞতা রইল।’ শিক্ষাবন্ড গ্রহণ করে রাজনের বাবা শেখ আজিজুর রহমান আলম কৃতজ্ঞাতা জানিয়ে বক্তব্য দেন। তিনি এ সময় শিক্ষামন্ত্রীর কাছে বাদেআলি গ্রামে একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় রাজনের নামে প্রতিষ্ঠা করার দাবি জানান। ছামির মাহমুদ/এসএইচএস
Advertisement