করোনার ভয়াল থাবায় থমকে গেছে দুনিয়া। ভারতজুড়ে এর নেতিবাচক প্রভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বেড়েই চলেছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। এ অবস্থায় দেশটিতে চলছে কড়া লকডাউন।
Advertisement
ফলে প্রায় তিন মাসেরও বেশি সময় ধরে বন্ধ রয়েছে শুটিং। লকডাউনের জেরে বাতিল হয়েছে একাধিক প্রজেক্ট। নামি তারকাদের এই পরিস্থিতিতে জীবনযাত্রার খুব একটা সমস্যা না হলেও অনেক অসচ্ছল শিল্পীকে করুণ দিনযাপন করতে হচ্ছে।
অনেকে বাধ্য হয়ে পেটের দায়ে লকডাউনের মধ্যে রোজগারের তাগিদে অন্য পেশা বেছে নিয়েছেন। এমনই একজন ‘ইয়ে শালি আশিকি’র অভিনেতা কমল রেক্সওয়াল।
কমল চলচ্চিত্রে খুব একটা পরিচিত নন। ‘ইয়ে শালি আশিকি’ ছাড়া বলিউডে আর কোনো ছবিতে তিনি অভিনয় করেননি। কিন্তু থিয়েটারের জগতে তিনি বিখ্যাত নাম।
Advertisement
বর্তমানে তিনি ট্যাক্সি চালাচ্ছেন। লকডাউন শুরুর আগ মুহুর্তে কাজ না থাকায় দিল্লি থেকে নিজের বাড়ি ফিরে যান কমল। কিন্তু সেখানে গিয়েও মুশকিলে পড়েন। কাজ নেই। পকেট ফাঁকা। তাই পেটের দায়ে দিল্লির রাজপথে ট্যাক্সি ক্যাব চালানোর কাজ নিলেন তিনি।
এভাবেই চলছিল। পরিচিত মুখ না হওয়ায় তাকে কেউ চিনতেও পারেননি। কিন্তু সম্প্রতি এক সংবাদমাধ্যমের কর্মী তাকে দেখে চিনতে পারেন। আর বিষয়টি চলে আসে আলোচনায়।
তখনই কমল জানান, লকডাউনে কাজ বন্ধ। তাই দৈনন্দিন খরচ চালাতে তিনি ক্যাব চালানোর কাজ বেছে নিয়েছেন। এতে অন্তত পেটে দু’বেলা দু’মুঠো ভাত পড়ে। অভিনেতা হিসেবে লজ্জা নিয়ে না খেয়ে মরার কোনো কৃতিত্ব নেই।
শুধু কমল রেক্সওয়াল নন, এমন অবস্থা অনেক বলিউড অভিনেতার। কিছুদিন আগে খবরে এসেছিল সোলাঙ্কি দিবাকরের কথা। পেটের দায়ে মুম্বাইয়ের রাস্তায় ফল বিক্রি করছেন তিনি।
Advertisement
এলএ/এমকেএইচ