অর্থনীতি

শাখার নিরাপত্তায় গাফিলতি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর

ব্যাংক শাখার নিরাপত্তা ইস্যুতে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশ পালনে ব্যর্থ রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ও বিশেষায়িত ব্যাংকগুলো। বাংলাদেশ ব্যাংক ২০১৪ সালের জানুয়ারি মাসে এ সংক্রান্ত একটি আদেশ জারি করে দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর সকল শাখাকে অধিকতর নিরাপত্তা বেষ্টনীতে আনতে বলে। তবে এরপর প্রায় দুই বছর পেরিয়ে গেলেও রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ও বিশেষায়িত ব্যাংকগুলোর শাখার নিরাপত্তা কার্যক্রম সন্তোষজনক হয়নি।বাংলাদেশ ব্যাংকের এক সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। তবে প্রতিবেদনে বেসরকারি বাণিজ্যক ও বিদেশি খাতের ব্যাংক শাখাগুলোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা তুলনামূলকভাবে শক্তিশালী বলে উল্লেখ করা হয়েছে।বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, বর্তমানে সোনালী ব্যাংকের শাখার সংখ্যা ১ হাজার ২০৭টি। এর বেশির ভাগ শাখাই গ্রামীণ পর্যায়ে। ব্যাংকটির কিশোরগঞ্জে বড় অর্থ লুটের ঘটনার পরই মূলত বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যাংক শাখার নিরাপত্তা জোরদার করতে নির্দেশ দেয়। তবে গত দুই বছরে সোনালী ব্যাংক খুব বেশি অগ্রগতি অর্জন করতে পারেনি।বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে ৪টি শাখার সরেজমিন পরিদর্শনের বরাত দিয়ে বলা হয়, সোনালী ব্যাংকের প্রায় ৬০ শতাংশ শাখা এখনো নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় আনা হয়নি।এ বিষয়ে জানতে চাইলে ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী প্রদীপ কুমার দত্ত বলেন, নিরাপত্তা কার্যক্রমে আমরা অনেক পদক্ষেপ নিয়েছি। অনেক অগ্রগতিও হয়েছে। তবে এটি চলমান প্রক্রিয়া।এতিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়, একই চিত্র অগ্রণী, জনতা, রূপালী ও বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের শাখাগুলোর ক্ষেত্রে।অগ্রণী ব্যাংকের শাখার সংখ্যা ৯২৭টি। এরও বেশির ভাগ শাখা গ্রামীণ পর্যায়ে। অনেক শাখাতেই বসানো হয়নি সিসি ক্যামেরা। ভল্টের নিরাপত্তা স্বয়ক্রিয় অ্যালার্মিং সিস্টেম চালুর কথা বলা হলেও গ্রামীণ পর্যায়ের কোনো শাখাতেই এটি নেই। দুর্বলতা রয়েছে শাখার কাঠামোগত নিরাপত্তা ব্যবস্থাতেও।জনতা ব্যাংকের ৯০৫টি শাখা, রূপালী ব্যাংকের ৫৩৫টি এবং বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের শাখা ৯৫২টি।এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী মুখপাত্র এএফএম আসাদুজ্জামান জাগো নিউজকে বলেন, ব্যাংকের শাখার নিরাপত্তা বিষয়টি আমরা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তরফ থেকে অধিকতর গুরুত্ব দিচ্ছি। নির্দেশনা পরিপালনে গাফিলতি করা হলে আমরা সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবো। এসএ/এসএইচএস

Advertisement