২০১৮ সালের মার্চ, বল টেম্পারিং কেলেঙ্কারিতে টালমাটাল অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট। এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ ও সহ-অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নার। দায় নিজের কাঁধে নিয়ে পদত্যাগ করেন হেড কোচ ড্যারেন লেহম্যানও।
Advertisement
নতুন হেড কোচ হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয় সাবেক বাঁহাতি ওপেনার জাস্টিন ল্যাঙ্গারকে। অধিনায়ক হিসেবে ডেকে নেয়া হয় উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান টিম পেইনকে। যার কি না জাতীয় দলে জায়গা পাওয়াই ছিলো তখন প্রশ্নের বিষয়। এছাড়াও বয়সের কাঁটা ছুঁয়ে ফেলেছিল ৩৩’র ঘর। ফলে পেইনকে অধিনায়ক করার সিদ্ধান্ত অনেকেই সমর্থন করতে পারেননি।
তবে দায়িত্ব নেয়ার পর আর কাউকে প্রশ্ন তোলার সুযোগ দেননি পেইন। সুযোগ্য নেতৃত্বে গুছিয়ে নিয়েছেন বিপর্যস্ত অস্ট্রেলিয়ান দলকে, ইংল্যান্ডের মাটিতে রিটেইন করেছেন ঐতিহাসিক অ্যাশেজ ট্রফি। স্মিথ-ওয়ার্নার ফেরার পর আরও শক্তিশালী হয়েছে পেইনের অস্ট্রেলিয়া।
সেই অসি অধিনায়ক পেইন প্রথমবার যখন এসেছিলেন বাংলাদেশ, তখন চমকে গিয়েছিলেন নতুনত্ব দেখে। তাও তিনি তখন মাত্র ১৯ বছরের তরুণ। নিজ দেশ অস্ট্রেলিয়ায় যেমনটা দেখে বড় হয়েছেন, বাংলাদেশে তার কিছুই মিল না পেয়ে বেশ অবাকই হয়েছিলেন পেইন।
Advertisement
বাংলাদেশে পেইনের প্রথম সফর ছিল প্রায় ১৬ বছর আগে, ২০০৪ সালে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের জন্য। সেবার প্রথমবারের মতো যুব বিশ্বকাপ আয়োজন করে বাংলাদেশ। অস্ট্রেলিয়া যুব দলের অধিনায়ক তখন পেইন। তার অধীনেই সেই বিশ্বকাপ খেলতে আসে অসি যুবারা।
ক্রিকেট মান্থলিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে সেই বিশ্বকাপের স্মৃতিচারণ করে পেইন বলেন, ‘যুব দলের অধিনায়কত্ব করা তেমন চাপের কাজ নয়, আমার মতে। আমার মনে আছে, অনূর্ধ্ব-১৯ দলের অধিনায়কত্ব করার সম্মান পেয়েছিলাম। তবে প্রথমবার বাংলাদেশের মতো দেশে যাওয়ার অভিজ্ঞতা চমকে দিয়েছিল আমাকে। কারণ আগে কখনও এমন কিছুর সম্মুখীন হইনি।’
তিনি আরও বলেন, ‘সেখানে প্রথম সপ্তাহ আমাদের সবার জন্যই অন্যরকম অভিজ্ঞতা ছিল। অস্ট্রেলিয়ায় আমরা যেমন দেখে অভ্যস্ত তার সঙ্গে মিল ছিল না। ফলে এটা আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জিং ছিল। এছাড়া তখন স্পিন খেলার সময় আমার মনে হতো, এটা কত কঠিন! এখনও তাই মনে হয়।’
এসএএস/পিআর
Advertisement