জাতীয়

লকডাউন বাস্তবায়নে জনপ্রতিনিধিদের প্রস্তুত থাকার নির্দেশ

মহামারি করোনাভাইরাস মোকাবিলায় ঢাকাসহ দেশের সকল সিটি করপোরেশনের মেয়রদের সব সময় প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।

Advertisement

বুধবার (১৭ জুন) রাতে দেশের সব সিটি করপোরেশনের মেয়রদের নিয়ে জোনভিত্তিক লকডাউন বাস্তবায়নে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের করণীয় বিষয়ক এক অনলাইন বৈঠকে মন্ত্রী এ নির্দেশ দেন।

তাজুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা সবাই জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়েছি। তাই সাধারণ মানুষের জানমালের নিরাপত্তা এবং কষ্ট নিবারণের দায়িত্ব আমাদের সবার।’

দেশে করোনাসহ যে কোনো বিপর্যয়ে জনপ্রতিনিধিদের মানুষের পাশে থেকে করোনাসহ সব ধরনের বিপর্যয় মোকাবিলা করার জন্য মেয়রদের প্রতি আহ্বান জানান মন্ত্রী।

Advertisement

তিনি করোনা সংক্রমিত এলাকা পুরো লকডাউন না করে সাব জোনে ভাগ করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

মন্ত্রী বলেন, কোনো একটি ওয়ার্ডে যদি এক লাখ মানুষের বসবাস হয় এবং করোনায় ২০০ জন আক্রান্ত হন তাহলে এই ২০০ জন যে এলাকায় বাস করে শুধু সেই এলাকাকে লকডাউন করলে কাজ করতে সহজ হবে।

সাব জোনগুলোকে পরিচালনা করার জন্য ওয়ার্ড কাউন্সিলরের নেতৃত্বে সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, মসজিদের ইমাম, এনজিও কর্মীসহ সমাজ সেবকদের নিয়ে কমিটি গঠন করা যেতে পারে বলেও জানান স্থানীয় সরকার মন্ত্রী।

তাজুল ইসলাম বলেন, জোন বা সাব জোন ভিত্তিক লকডাউন বাস্তবায়ন করতে হলে স্থানীয়দের অন্তর্ভুক্ত করার কোনো বিকল্প নেই।

Advertisement

তিনি বলেন, লকডাউন এলাকার সুবিধাজনক স্থানে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খুলে এর মোবাইল নম্বর এলাকার জনসাধারণকে দিতে হবে। পরিস্থিতি বিবেচনায় জনসাধারণ নিজ থেকে সচেতনতা অবলম্বন করবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

মন্ত্রী বলেন, করোনা প্রতিরোধে রেড জোন, ইয়োলো এবং গ্রিন জোন ঘোষণা করার এখতিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের। জোন বা সাব জোন ঘোষণা করার দায়িত্ব স্থানীয় সরকার বিভাগের নয়। জোন ভিত্তিক লকডাউন ঘোষণা করার পর তা বাস্তবায়নে স্থানীয় সরকার বিভাগের ওপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করার জন্য সচেষ্ট হতে হবে।

এ সময় মেয়রদের নিয়মিতভাবে সংশ্লিষ্ট দফতর বা সংস্থার সঙ্গে সভা বা যোগাযোগের মাধ্যমে যৌথভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং প্রয়োজন হলে মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা গ্রহণ করার পরামর্শ দেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী।

আরএমএম/এমএফ/পিআর