রাঙ্গামাটি শহরের শান্তিনগর এলাকায় করোনাভাইরাসে চার মাসের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসার পর শিশুটির বাড়ি লকডাউন করতে গিয়ে স্থানীয় প্রশাসনের লোকজন জানতে পারেন পাঁচদিন আগে শিশুটি মারা গেছে।
Advertisement
মঙ্গলবার (১৬ জুন) মধ্যরাতে রাঙ্গামাটিতে ১৬ জনের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসে। এর মধ্যে একজন শহরের শান্তিনগর এলাকায় বাসিন্দা শামীম হোসেনের চার মাসের শিশুকন্যা শাওরিন ইসরাত। রাতেই প্রশাসন তার বাড়ি লকডাউন করতে গিয়ে জানতে পারে ১১ জুন দুপুরে শিশুটি মারা গেছে।
শিশুর বাবা শামীম হোসেন জানান, আমার মেয়ের ১০ জুন হঠাৎ করে শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছিল। তাই আমরা তাকে প্রথমে একজন চিকিৎসক দেখাই। পরে অবস্থা আরও খারাপ হওয়ায় রাঙ্গামাটি সদর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানে এক রাত থাকার পরে চিকিৎসক আমাদের বলেন, শিশুকে নিয়ে চট্টগ্রাম যেতে। কিন্তু আমি দিনমজুর মানুষ; মেয়েকে চট্টগ্রাম নেয়ার সামর্থ্য নেই আমার। রাঙ্গামাটি হাসপাতালে রাখলে নিজের দায়িত্বে রাখতে হবে; চিকিৎসকরা কিছু করতে পারবেন না বলায় আমি মেয়েকে নিয়ে ১১ জুন দুপুরে হাসপাতাল থেকে বাড়ি চলে আসছিলাম। পথিমধ্যে সিএনজিতে মারা যায় শিশুটি। পরে তাকে কেন্দ্রীয় কবরস্থানে দাফন করি।
রাঙ্গামাটির সিভিল সার্জন অফিসের করোনা ফোকাল পার্সন ডা. মোস্তফা কামাল বলেন, ১০ জুন শিশুটির নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছিল। ১৬ জুন মধ্যরাতে তার রিপোর্ট আসে। সেখানে দেখা যায় শিশুটির করোনা পজিটিভ। পরে প্রশাসন ও স্বাস্থ্যকর্মীরা বাড়ি লকডাউন করতে গিয়ে জানতে পারেন শিশুটি ১১ জুন মারা গেছে।
Advertisement
রাঙ্গামাটির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) উত্তম কুমার দাস বলেন, মঙ্গলবার রাতে রিপোর্টে শিশুটির করোনা পজিটিভ আসায় প্রশাসন বাড়ি লকডাউন করতে যায়। সেখানে গিয়ে জানতে পারে শিশুটি ১১ জুন মারা গেছে। আমরা তার বাড়িসহ আশপাশের বাড়ি লকডাউন করেছি এবং তাদের খোঁজখবর নিচ্ছি।
এ নিয়ে রাঙ্গামাটিতে তিনজন করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। রাঙ্গামাটিতে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১২১ জন। এদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৫০ জন। এখনও আইসোলেশনে আছেন ২৩ জন।
সাইফুল/এএম/পিআর
Advertisement