রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ জেলহত্যা দিবসের শোককে শক্তিতে পরিণত করে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠন তথা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবায়নে নিজ নিজ অবস্থানে থেকে অবদান রাখতে সকলের প্রতি আহবান জানিয়েছেন।জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে শবিবার এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি এ আহবান জানান।বাণীতে রাষ্ট্রপতি বলেন, আমাদের জাতীয় জীবনে জেলহত্যা দিবস এক শোকাবহ দিন। এই দিনে আমি গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি জাতীয় চার নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী ও এএইচএম কামারুজ্জামানকে। যাঁদেরকে বন্দি অবস্থায় ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে ১৯৭৫ সালের এই দিনে স্বাধীনতাবিরোধী ঘাতকচক্রের হাতে নির্মমভাবে শাহাদত বরণ করতে হয়।রাষ্ট্রপতি বলেন, বাঙালি জাতির ইতিহাসে জাতীয় চার নেতার অবদান অপরিসীম। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন মুজিবনগর সরকার গঠন, রণনীতি ও রণকৌশল প্রণয়ন, প্রশাসনিক কর্মকাণ্ড ও মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা, কূটনৈতিক তৎপরতা, শরণার্থীদের তদারকিসহ মুক্তিযুদ্ধকে জনযুদ্ধে পরিণত করতে তাঁরা বিপুল অবদান রাখেন। এসবের জন্য জাতি তাঁদের চিরদিন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।তিনি আরও বলেন, এ কথা অনস্বীকার্য যে, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে বিপন্ন করার পাশাপাশি জাতিকে নেতৃত্বহীন করার লক্ষ্যে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার ধারাবাহিকতায় ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি কারাবন্দি অবস্থায় ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে জাতীয় চার নেতাকে নির্মমভাবে হত্যা করে। ঘাতকচক্রের উদ্দেশ্য ছিল দেশে অগণতান্ত্রিক স্বৈরশাসনের উত্থানের পাশাপাশি নতুন প্রজন্মের চেতনা থেকে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে মুছে ফেলা। তাই জাতীয় ইতিহাসে জেলহত্যা দিবস এক কালো অধ্যায় হিসেবে বিবেচিত হয়ে থাকবে।
Advertisement