বুধবার বিকেলে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক ও উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহীমের বিক্রিত ব্যাটের অর্থ দিয়ে বগুড়ায় করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষার জন্য চারটি বুথ খোলা হয়েছে। বুধ খোলার পরপরই বগুড়া সদর উপজেলার অর্ধশতাধিক মানুষ তাদের নমুনা দেন। নমুনা দেন সাংবাদিকরাও।
Advertisement
সম্প্রতি বগুড়ায় করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে গেলে নমুনা পরীক্ষা করতে গিয়ে হিমশিম খান বগুড়া সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সামির হোসেন মিশু। ঠিক এ সময়ই জাতীয় দলের ক্রিকেটার মুশফিকুর রহীম তার নিজ এলাকার মানুষের করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য নিরাপদে নমুনা সংগ্রহ করতে আর্থিকভাবে অনুদান দেন।
মুশফিকুর রহীমের অর্থায়নে বগুড়া সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে ১টি ডক্টর সেফটি চেম্বার, ৩টি করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহের বুথ স্থাপন করা হয়। এর মধ্যে একটি বুথ স্থাপন করা হয়েছে শহরের সেউজগাড়ির রাবেয়া নার্সিংয়ের সামনে।
বুথগুলোর উদ্বোধন করেন বগুড়া জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক ও বগুড়া চেম্বারের সভাপতি মাছুদুর রহমান মিলন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বগুড়া সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সামির হোসেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দলের ক্রিকেটার তৌহিদ হৃদয়, তানজিদ তামিম, সাবিত হোসাইন, এডনিস তালুকদার বাবু, ডা. মিজানুর রহমান, ডা. ইফতেখার হায়দার খান, ডা. মনিরুজ্জামান, ডা. ইশরাত জাহান জান্নাতি, ডা. নিশাত তাসনিম, মাছুদুর রহমান বাপ্পি, বঙ্গবন্ধু মেডিকেল টেকনোলজিস্ট পরিষদ সভাপতি মোজাফ্ফর হোসেন বাদল, সাধারণ সম্পাদক সুজিত কুমার তালুকদার, সাংগঠনিক সম্পাদক আল আমিন, সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কার্যালয়ের প্রধান সহকারি কাম হিসাবরক্ষক মোছা. শামীমা আকতার, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (ইপিআই) মোতাহার হোসেন, শফিউজ্জামান, কম্পিউটার অপারেটর রঞ্জন কুমার দাস, নান্নু মিয়াসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা।
Advertisement
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, ‘বগুড়ায় জন্ম নেয়া জাতীয় দলের ক্রিকেটার মুশফিকুর রহীম শুধু করোনাভাইরাস পরীক্ষার নমুনা সংগ্রহের বুথই স্থাপন করেননি, তিনি সদর উপজেলার স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও কর্মীদের পিপিই, গ্লাভস, হেড কাভারসহ স্বাস্থ্য সামগ্রী, লকডাউনে থাকা ৩৫০ পরিবারকে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন। এছাড়া তিনি আরেক ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের নামে প্রতিষ্ঠিত সাকিব আল হাসান ফাউন্ডেশন থেকে ৩৫০টি পরিবারের জন্য খাবারের ব্যবস্থাও করেন।’
আইএইচএস