চট্টগ্রামের প্রথম রেড জোন হিসেবে পরীক্ষামূলকভাবে ১০ নম্বর উত্তর কাট্টলী ওয়ার্ড লকডাউন হচ্ছে আজ (মঙ্গলবার) মধ্যরাত থেকে। রাত ১২টার পর থেকে লকডাউন কার্যকর হবে।
Advertisement
সিভিল সার্জন সেখ ফজলে রাব্বি জাগো নিউজকে বলেন, ‘স্বাস্থ্য অধিদফতর ও চট্টগ্রামের স্বাস্থ্য বিভাগ যৌথভাবে চট্টগ্রাম নগরের ১১টি জোনকে ‘রেড জোন’ হিসেবে শনাক্ত করেছে। লকডাউন বাস্তবায়ন করবে সিটি করপোরেশন। তাই সিটি করপোরেশনের নিজেদের সুবিধার জন্য এটিকে ১০ ওয়ার্ডে ভাগ করে নিয়েছে। মূলত প্রতি এক লাখ জনসংখ্যায় বিগত ১৪ দিনে ৭ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছে- এমন এলাকাগুলোকেই রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। জেলার প্রথম রেড জোন উত্তর কাট্টলী লকডাউন হচ্ছে আজ মধ্যরাত থেকে।’
লকডাউন চলাকালীন রেড জোন ঘোষিত এলাকায় প্রবেশ ও বাইরে যাওয়া সম্পূর্ণ নিষেধ। এ লক্ষ্যে ওই এলাকার ২০টি প্রবেশপথ চিহ্নিত করে তা বন্ধ করার কাজ শুরু হয়েছে। প্রবেশপথগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- কর্নেল টোল রোড, ঈশান মহাজন রোড, মোস্তফা হাকিম কলেজ রোড, সাগরিকা বিটেক রোড, কৈবল্যধাম রোড, নিউ মনছুরাবাদ রোড, সিডিএ আবাসিক রোড, সাগরিকা আলিফ রোড।
এছাড়া প্রধান সড়কে কোনো প্রকার যাত্রী ওঠানামা করতে পারবে না দূরপাল্লার গাড়ি, তবে রাত ১২টার পর পণ্যবাহী গাড়ি চলাচল উন্মুক্ত থাকবে। প্রাথমিকভাবে ২১ দিনের জন্য এই লকডাউন কার্যকর করা হবে বলে জানিয়েছে সিটি করোরেশন। আর এই এলাকায় সেনাটহল থাকবে বলে জানিয়েছে আইএসপিআর। তবে এ সময়ে স্বাস্থ্যকর্মীসহ জরুরি সেবায় যারা নিয়োজিত তাদের বের হতে দেয়া হবে। এ জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি সেরে নিচ্ছে সিটি করপোরেশন ও প্রশাসন।
Advertisement
একইসঙ্গে সাধারণ মানুষকে প্রয়োজনীয় সহায়তা দিতে খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। এলাকার মানুষের সার্বিক সহায়তার জন্য মহল্লাভিত্তিক স্বেচ্ছাসেবক টিমও কাজ করবে।
কন্ট্রোল রুমের নম্বরগুলো হলো- ০৩১-৪৩১৫১৩৬৮, ০৩১-৪৩১৫১৩৬৯, ০৩১-৪৩১৫১৩৭০, ০৩১-৪৩১৫১৩৭১, ০৩১-৪৩১৫১৩৭২, ০১৮১৯-০৫৬৮৪৪ এবং ০১৮১১-৮৮৭০৮৪।
লকডাউন কার্যকর থাকাকালীন স্থানীয় বাসিন্দারা যেকোনো সমস্যা এসব নম্বরে ফোন করে জানাতে পারবেন।
হতদরিদ্র ও নিম্ন আয়ের পরিবারের জন্য স্বেচ্ছাসেবক টিমের মাধ্যমে খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হবে এবং সামর্থ্যবানদের জন্য নির্দিষ্ট ভ্যানে বা ই-কমার্সের আওতায় প্রয়োজনীয় সামগ্রী ও জরুরি ওষুধ ন্যায্যমূল্য সরবরাহ করা হবে।
Advertisement
সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন বলেন, ‘১৬ তারিখ মধ্যরাত থেকে এই এলাকা পুরোপুরি লকডাউন থাকবে। যানবাহন চলবে না। বাসিন্দারা ঘরে থাকবেন। তাদের প্রয়োজন মেটাতে পাশে থাকবে সিটি করপোরেশন।’
মেয়র বলেন, ‘আগামী ২১ দিন লকডাউন চলাকালীন এলাকার মানুষের সার্বিক সহায়তার জন্য থাকবে সিটি করপোরেশনের একাধিক কন্ট্রোল রুম ও এলাকাভিত্তিক স্বেচ্ছাসেবক টিম। বিশেষ প্রয়োজনে কন্ট্রোল রুমের নির্দিষ্ট নম্বরে যোগাযোগ করে মিলবে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা। স্বেচ্ছাসেবক দ্বারা প্রতিটি ঘরে জিনিসপত্র পৌঁছে দেয়া হবে। চসিকের পক্ষ থেকে চলবে দিনভর প্রচারাভিযান ও লিফলেট বিতরণ।’
আবু আজাদ/বিএ/পিআর