আন্তর্জাতিক

দক্ষিণ এশিয়াকে সতর্ক করলো ডব্লিউএইচও

মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছেই। গত দুই সপ্তাহ ধরে গোটা বিশ্বে প্রতিদিন লক্ষাধিক মানুষ করোনায় আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হচ্ছেন। আর এই সংক্রমণের হার সবচেয়ে বেশি দক্ষিণ এশিয়া ও আমেরিকায়। বিশেষ করে এই দুই অঞ্চলের দেশগুলোকে সতর্ক করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

Advertisement

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক তেদ্রোস আধানম গ্যাব্রিয়েসুস এমন তথ্য দিয়ে এসব দেশকে সতর্ক করে বলেছেন, ‘যে দেশগুলো করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে সক্ষম হয়েছে বা যেসব দেশে তা নিয়ন্ত্রণে এসেছে, তাদেরও পুনরায় ভাইরাসটির সংক্রমণ শুরু হওয়ার বিষয়টি সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হবে।’

ডব্লিউএইচও মহাপরিচালক বলেন, ‌‘প্রাদুর্ভাব শুরুর পর বিশ্বজুড়ে এক লাখ মানুষের দেহে ভাইরাসটি সংক্রমিত হতে সময় লেগেছিল দুই মাসের বেশি। কিন্তু এখন সেটা প্রাত্যহিক একটা ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতিদিন শনাক্তদের এক-তৃতীয়াংশই হচ্ছে দশটি দেশে; যার বেশিরভাগ দক্ষিণ এশিয়া ও আমেরিকার।’

দক্ষিণ এশিয়া ও আমেরিকার দেশগুলোতে সতর্ক করে দেওয়া ছাড়াও তিনি বলেন, ‘গত সপ্তাহে বেইজিংয়ে সংক্রমণে নতুন গুচ্ছের কথা জানায় চীন। যে শহর টানা ৫০ দিন রোগী শনাক্ত হয়নি সেখানে কয়েকদিনে ১০০টিরও বেশি সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এই প্রাদুর্ভাবের উৎস এবং এর মাত্রা নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে।’

Advertisement

দক্ষিণ এশিয়ার তিন দেশ; ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশে গড়ে প্রতিদিন ২০ হাজারের বেশি মানুষ কোভিড-১৯ পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হচ্ছেন। দেশ তিনটির প্রতিটিতেই প্রতিদিন নতুন শনাক্ত ও মৃত্যুতে নিয়ম করে ভাঙছে আগের দিনগুলোর রেকর্ড। এমন পরিস্থিতিতে এসব দেশকে সতর্ক করলো ডব্লিউএইচও।

দক্ষিণ এশিয়ার তিনটি দেশের মধ্যে ভারতে সংক্রমণের সংখ্যা সর্বোচ্চ। এখন পর্যন্ত দেশটিতে ৩ লাখ ৪৩ হাজারের বেশি শনাক্ত হয়েছে। মারা গেছে প্রায় দশ হাজার মানুষ। আর পাকিস্তানে আক্রান্ত প্রায় দেড় লাখের ২ হাজার ৭০০ জন মারা গেছে। বাংলাদেশে আক্রান্ত ছাড়িয়েছে ৯০ হাজার; মৃত্যু ১২শ’ এর বেশি।

এসএ

Advertisement