দেশজুড়ে

সিরাজগঞ্জে ২ গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষে আহত ৫০

দোকানে বাকি খাওয়ার টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চল জগতলা গ্রামে দুইটি বিবাদমান গোষ্ঠীর মধ্যে (বেপারী গোষ্ঠী ও সর্দার গোষ্ঠী) সংঘর্ষে কম পক্ষে ৫০ ব্যক্তি হয়েছেন। আহতদের মধ্যে ২৮ জনকে গুরুতর অবস্থায় শাহজাদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও সিরাজগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ১০ রাউন্ড রাবার বুলেট ছোড়ে।থানা পুলিশ ও গ্রামবাসী সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার দুপুরে শাহজাদপুর উপজেলার জগতলা খেয়া ঘাটের দোকানদার জগতলা সর্দার গোষ্ঠীর হেকমত আলী দোকানের বাকি খাওয়ার পাওনা টাকা চায় একই গ্রামের বেপারী গোষ্ঠীর রফিকুল আলমের কাছে। টাকা চাওয়ার বিষয়টি নিয়ে দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে হাতহাতি ও মারামারি হয়। বিষয়টি নিয়ে বিকেলে স্থানীয় মাতবরণ বৃহস্পতিবার বিকেলে সালিশ বৈঠকে বসেন। বৈঠকের রায় ঘোষণার পর রফিকুলের পক্ষে বেপারী গোষ্ঠির বালিয়াট পাড়ার ইদ্রিস আলী রায় সঠিক হয়নি উল্লেখ করে আপত্তি জানান। এ ঘটনায় সালিশ বৈঠকে বসা লোকজন ইদ্রিস আলীকে মারধর করেন। এ ঘটনার জের ধরে গ্রামের দুই পাড়ার গোষ্ঠীর মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। শুক্রবার দুপুরে জগতলা খেওয়া ঘাটের কাছে পুনরায় কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে উভয় পাড়ার লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। সংঘর্ষে উভয় পক্ষ লাঠি, ফালা রামদা, ইট-পাটকেল ইত্যাদি দেশীয় অস্ত্র নিয়ে একে অপরের উপর ঝাপিয়ে পড়েন। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ৫০ ব্যক্তি আহত হন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ১০ রাউন্ড গুলি ছুড়ে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। বর্তমানে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এ ঘটনায় আহতদের মধ্যে ২৮ জনকে শাহজাদপুর পোতাজিয়া ও সিরাজগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ইদ্রিস, আলম, কামাল , সিরাজুল ,লালাচান, আকবর, নুরুল, আমজাদ, মাজেদা, রজিনা আজ্ঞু, ফজলু, হেলাল, সাত্তার হালিমা, শীতল, কায়েম ও রফিকুলের অবস্থা গুরুতর।        স্থানীয় ইউপি সদস্য নুরুল আমিন জাগো নিউজকে বলেন, একটি তুচ্ছ ঘটনাকে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বর্তমানে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। তবে বিষয়টি নিয়ে যেন আর কোনো ঘটনা না ঘটে তার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।এ বিষয়ে শাহজাদপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল হক জাগো নিউজকে জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। পুনরায় সংঘর্ষ এড়াতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বাদল ভৌমিক/এমজেড/পিআর

Advertisement