অর্থনীতি

কর্মীদের ১৫ শতাংশ বেতন কমিয়েছে এক্সিম ব্যাংক

বিভিন্ন মহলে সমালোচনার মধ্যেও কর্মীদের বেতন-ভাতা ১৫ শতাংশ কমিয়েছে বেসরকারি এক্সিম ব্যাংক। পাশাপাশি কর্মীদের পদোন্নতি ও ইনক্রিমেন্ট বন্ধেরও সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সবশেষ এক্সিম ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

Advertisement

চলতি বছরের ১ জুলাই থেকে ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত কার্যকর থাকবে। সম্প্রতি একই রকম সিদ্ধান্ত নিয়েছে দ্য সিটি ব্যাংক। সোমবার ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, ৪০ হাজার টাকার বেশি বেতন পান, এমন কর্মীদের বেতন-ভাতা ১৫ শতাংশ কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে পর্ষদ। আগামীকালের মধ্যেই এ সিদ্ধান্ত প্রজ্ঞাপন আকারে কর্মীদের জানানো হবে। চলমান সংকটে ব্যাংক বাঁচাতেই এ সিদ্ধান্ত নেয় হয়েছে। দেশের আর্থ-সামাজিক পরিস্থিতিতে ব্যাংকারদের বেতন-কাঠামো এমনিতেই বেশি ছিল। ১৫ শতাংশ বেতন কমালে ব্যাংকারদের কোনো সমস্যা হওয়ার কথা নয় মনে করছে ব্যাংটির পরিচালনা পর্ষদ।

এর আগে, সম্প্রতি ব্যাংককর্মীদের বেতন-ভাতা ১৫ শতাংশ কমানো, পদোন্নতি, ইনক্রিমেন্ট, ইনসেন্টিভ বোনাস বন্ধ করাসহ ১৩ দফা সুপারিশ করে দেশের সব বেসরকারি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও চেয়ারম্যানের কাছে চিঠি দেয় বেসরকারি ব্যাংক উদ্যোক্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকস (বিএবি)। কিন্তু এ খবর ছড়িয়ে পড়লে ব্যাংকে ব্যাংকে কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। বিভিন্ন মহলে চলছে সমালোচনার ঝড়। এমন পরিস্থিতিতে বেতন-ভাতা কমানোর সুপারিশ থেকে সরে এসেছে বিএবি।

Advertisement

কিন্তু বিএবি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদারের মালিকাধীন এক্সিম ব্যাংকের কর্মীদের বেতন ঠিকই কমানো হয়েছে। এর আগে, করোনার প্রাদুর্ভাবে আর্থিক ক্ষতি পুষিয়ে নিতে কর্মীদের ১৬ শতাংশ বেতন-ভাতা কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বেসরকারি খাতের দি সিটি ব্যাংক লিমিটেড। এতে কর্মকর্তাদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাশরুর আরেফিন জাগো নিউজকে বলেন, করোনার কারণে এখন নতুন কোনো ব্যবসা নেই। অন্যদিকে সব ঋণের সুদহার ৯ শতাংশে নামিয়ে আনায় আয় কমে গেছে। ব্যয় বেড়ে ৬৬ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। ১০০ টাকার আয়ে ৬৬ টাকা ব্যয় করতে হচ্ছে। এখন ব্যাংক বাঁচাতে ব্যয় কমানো ছাড়া উপায় নেই। এসব বিবেচনায় কর্মীদের চাকরি থেকে ছাঁটাই না করতেই এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আগামী ২২ জুন পর্ষদ সভায় এটি চূড়ান্ত হবে।

এদিকে গত মাস থেকেই এন্ট্রি লেভেল থেকে এমডি পর্যন্ত ৩ ও ৫ শতাংশ হারে বেতন-ভাতা কর্তন শুরু করেছে বেসরকারি এবি ব্যাংক। একই পথে হাঁটতে যাচ্ছে বিএবি চেযারম্যান মো. নজরুল ইসলাম মজুমদারের এক্সিম ব্যাংকও। ব্যাংকটি ১২ শতাংশের মতো বেতন-ভাতা কমাতে চাচ্ছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গত ডিসেম্বরভিত্তিক তথ্য অনুযায়ী, দেশে কার্যরত ৫৯টি ব্যাংকে বর্তমানে জনবল রয়েছে এক লাখ ৭৮ হাজার ৪৩০ জন। এর মধ্যে বেসরকারি ব্যাংকে আছেন এক লাখ ৯ হাজার ১২৭ জন। বিদেশি ব্যাংকে তিন হাজার ৮৫৮ জন। সরকারি ব্যাংকে ৬৫ হাজার ৪৪৫ জন।

Advertisement

এসআই/এমআরএম