পাবনা-৩ আসনের বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত গ্রুপ ক্যাপ্টেন সাইফুল আজম সুজার (৭৯) দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
Advertisement
সোমবার (১৫ জুন) জানাজা শেষে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শাহীন কবরস্থানে তার মরদেহ সমাহিত করা হয় বলে জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর)।
২০০০ সালে যুক্তরাষ্ট্র সাইফুল আজমকে ‘লিভিং ঈগল’ উপাধিতে ভূষিত করে। ১৯৬৭ সালের ইরাকযুদ্ধে অংশ নেন তিনি। যুদ্ধে একটি ইসরায়েলি বিমান ভূপাতিত করেন এবং আরেকটিকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে সক্ষম হন।
বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত এই কর্মকর্তা রোববার (১৪ জুন) দুপুর সোয়া ১টায় ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল ইন্তেকাল করেন।
Advertisement
আইএসপিআর জানায়, সোমবার (১৫ জুন) দুপুর পৌনে ২টায় বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ঘাঁটি বাশার এর প্যারেড গ্রাউন্ডে (বিগটপ হ্যাঙ্গার) সাইফুল আজম সুজার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় তার বিদেহী আত্মার সম্মান জানাতে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী একটি ফ্লাই পাস্টের আয়োজন করে।
জানাজায় বাংলাদেশ বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল মাসিহুজ্জামান সেরনিয়াবাতসহ ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তা, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও বাংলাদেশ নৌবাহিনীর প্রতিনিধি এবং সব পদবির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। জানাজা শেষে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তার মরদেহ শাহীন কবরস্থানে দাফন করা হয়।
উল্লেখ্য, গ্রুপ ক্যাপ্টেন সাইফুল আজম (অব.) একমাত্র সামরিক পাইলট, যার চারটি বিমান বাহিনীর (বাংলাদেশ, জর্ডান, ইরাক ও পাকিস্তান) হয়ে কাজ করার কৃতিত্ব রয়েছে। তিনি প্রশিক্ষণে কৃতিত্বের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে ‘টপ গান’ এবং ১৯৬৫ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে অসামান্য কৃতিত্বের জন্য পাকিস্তানের তৃতীয় সর্বোচ্চ মিলিটারি অ্যাওয়ার্ড ‘সিতারা-ই-জুরাত’ উপাধিতে ভূষিত হন। এছাড়াও গ্রুপ ক্যাপ্টেন সাইফুল আজম (অব.) জর্ডান এবং ইরাকের Wassam-al-Istiqlal এবং Nawt-al Shuja উপাধিতে ভূষিত হন।
তিনি তিনটি দেশের সামরিক খেতাবে ভূষিত হন, যা একটি বিশ্ব রেকর্ড। স্বাধীনতার পর তিনি ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশে ফিরে আসেন এবং বাংলাদেশ বিমান বাহিনীতে যোগদান করেন। পরবর্তীতে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন শেষে ১৯৭৮ সালে অবসর গ্রহণ করেন।
Advertisement
পরে ২০০০ সালে যুক্তরাষ্ট্র তাকে ‘লিভিং ঈগল’ উপাধিতে ভূষিত করার মাধ্যমে সম্মানিত করে। তিনি ছিলেন বিশ্বের ২২ জন এই অনন্য উপাধি অর্জনকারীর মধ্যে একজন।
জেপি/এমএফ/এমএস