গাজীপুরের পাঁচটি উপজেলা ও মহানগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ড লকডাউনের প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। নগরীর যে সব ওয়ার্ডে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেশি সে সব এলাকা চিহ্নিত করে রেড ও ইয়েলো জোনে ভাগ করা হচ্ছে। এ ছাড়া পাঁচটি উপজেলাও রেড-ইয়েলো জোনে বিভক্ত করছে স্থানীয় প্রশাসন। উপজেলাগুলোও লকডাউনের আওতায় আসছে।
Advertisement
গাজীপুরের জেলা প্রশাসক এস এম তরিকুল ইসলাম জানান, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে জেলার বিভিন্ন এলাকা রেড জোনের আওতায় আনা হচ্ছে। সে জন্য প্রস্তুতি নিতেও বলা হয়েছে। তবে কোন কোন এলাকা রেড জোনের আওতায় আনা হচ্ছে সে বিষয়ে সুনির্দিষ্টভাবে এখনও জানানো হয়নি কিংবা নির্দেশনা দেয়া হয়নি। তবে রেড ও ইয়েলো জোন তৈরির কাজ চলছে। লকডাউন কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করতে বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খখলা বাহিনীর সদস্য দরকার হবে। তাই প্রশাসন, পুলিশ, র্যাবসহ আইনশৃঙ্খখলা বাহিনী একসঙ্গে বিষয়টি সমন্বয় করছে।
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এবার রেড জোনসমূহে লকডাউন করতে হলে কঠোরভাবে তা বাস্তবায়ন করতে হবে। শিল্প কারখানা খোলা রেখে লকডাউন সফল হবে না। প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসকে প্রতিরোধ করতে হলে আমাদের সকলকে আইন ও নিয়ম মেনে চলতে হবে। আমাদের নগরকে ও নাগরিকদের আমাদেরই রক্ষা করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, গাজীপুর একটি শিল্প নগরী। তাই এ এলাকায় লকডাউন করতে হলে শিল্প-কলকারখানার মালিক, জন প্রতিনিধি, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সর্বদলীয় নেতাদের মধ্যে সমন্বয় করে পরিকল্পিতভাবে কঠোর লকডাউন করতে হবে। সরকারের নির্দেশনা এলে আমরা সরকারকে সহায়তা করতে প্রস্তুত রয়েছি।
Advertisement
এদিকে জেলার কালীগঞ্জ পৌরসভার ৪, ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ড গত শনিবার (১৩ জুন) থেকেই রেড জোনের আওতায় আনা হয়েছে। সেখানে লকডাউন অমান্যকারীদের আইনের আওতায় আনা হচ্ছে।
গাজীপুর সিভিল সার্জন অফিস সূত্র জানায়, জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ৯২ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ২ হাজার ৩২৫ জন। এছাড়াও করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন মোট ২৫ জন।
আমিনুল ইসলাম/আরএআর/এমএস
Advertisement