অর্থনীতি

ক‌রোনায় আক্রান্ত ৩৮২ পোশাক শ্রমিক, ৩ জনের মৃত্যু

দেশের তৈরি পোশাক খাতের শ্রমিকদের মাঝে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণের হার প্রতিনিয়তই বাড়ছে। এ পর্যন্ত প্রাণঘাতী এ ভাইরাসে ১৬২টি কারখানার ৩৮২ জন পোশাক শ্রমিক সংক্রমিত হয়েছেন। আর আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন তিনজন।

Advertisement

সোমবার (১৫ জুন) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শিল্প পুলিশ) ফরহাদ হোসেন জাগো নিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

সবশেষ শিল্প পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, বিজিএমইএ’র ৬১টি কারখানায় করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ২০৩ জন। আর মারা গেছেন দু’জন। বিকেএমইএ’র ২৭টি কারখানায় ৮৪ জন। বিটিএমএ’র ৩টি কারখানায় ৪ জন। বেপজার ৪৮টি কারখানায় ৬০ জন ও অন্যান্য ২৩টি কারখানায় ৩১ জন করোনা আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেছে। আর মারা গেছেন একজন। সবমিলিয়ে ১৬২ কারখানায় আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ২১৫ জন ও মৃত্যু হয়েছে ৩ জনের।

অঞ্চলভিত্তিক তথ্যে দেখা গেছে, আশুলিয়ার ২৮টি কারখানায় ৬২ জন, গাজীপুরের ৩৪টি কারখানায় ৮৬, চট্টগ্রামের ৫১টি কারখানায় ৫৮, নারায়ণগঞ্জের ৩৯টি কারখানায় ৯৯, ময়মনসিংহের ৮টি কারখানায় ৬৯ ও খুলনার ২টি কারখানায় ৮ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।

Advertisement

এদিকে বিজিএমইএ-এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ দিন দিন বাড়ছে। এমন পরিস্থিতিতে কোনো পোশাক শ্রমিক করোনায় আক্রান্ত হলে দ্রুত চিকিৎসা দেয়ার জন্য বিশেষ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আক্রান্ত শ্রমিকের তথ্য দেয়ার জন্য চালু করা হয়েছে হটলাইন। পাশাপাশি চারটি জোন ভাগ করে মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। এছাড়া যে শ্রমিক করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন তাকে এবং ওই শ্রমিকদের সংস্পর্শে আসা অন্যদেরও ছুটিতে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হচ্ছে। যারা বেশি অসুস্থ তাদের হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে। যার খরচ বহন করছেন কারখানার মালিকরা।

এদিকে সম্প্র‌তি পোশাক শ্রমিকদের করোনাভাইরাস শনাক্তে গাজীপুরের চন্দ্রায় ডা. ফরিদা হক মেমোরিয়াল ইব্রাহিম জেনারেল হাসপাতালে আধুনিক পিসিআর ল্যাব স্থাপন করেছে পোশাক শিল্পের মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ।

বিজিএমইএ জানায়, গাজীপুরের চন্দ্রায় স্থাপিত ল্যাবে প্রতিদিন ৪০০ নমুনা পরীক্ষা করা হবে। এছাড়া টঙ্গী ও নারায়ণগঞ্জে পিসিআর ল্যাব স্থাপনের কাজ চলছে।

এসআই/এফআর/এমএস

Advertisement