খুলনায় মসজিদ নির্মাণের ঠিকাদারী ভাগবাটোয়ারা করে নিয়েছে ক্ষমতাসীন দলের যুব ও ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এই ঘটনার পর তোলপাড় শুরু হয়েছে সংগঠনের মধ্য। গণপূর্ত বিভাগ-১ এর দুটি কাজের বিপরীতে ৫১টি শিডিউল বিক্রি হলেও জমা পড়ে মাত্র তিনটি।সাধারণ ঠিকাদাররা অভিযোগ করে বলেছেন, শিডিউল কিনেও নেতা-কর্মীদের বাধার কারণে জমা দিতে পারেননি। গণপূর্ত বিভাগ-১ দফতরে সরকার সমর্থিত ছাত্র ও যুব সংগঠনের নেতা-কর্মীদের মহড়া, পেশীশক্তি প্রদর্শন ও শিডিউল কেড়ে নেয়ার ঘটনায় নগরবাসীর মাঝে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।গণপূর্ত বিভাগ সূত্র জানায়, খুলনার শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালের অভ্যন্তরে নতুন মসজিদ নির্মাণ প্রকল্পের কাজে ১ কোটি ৬৮ লাখ টাকার এবং পরিচালকদের তিনতলা বিশিষ্ট আবাসিক ভবন নির্মাণ প্রকল্পে ১ কোটি ৬ লাখ টাকার টেন্ডার আহ্বান করা হয়। শিডিউল বিক্রির শেষ দিন ছিল ২০ অক্টোবর। ওই দিন দেখা গেছে মসজিদ নির্মাণ কাজে ২৫টি এবং আবাসিক ভবন নির্মাণ কাজে ২৬টি শিডিউল বিক্রি হয়। পরের দিন ২১ অক্টোবর বুধবার ছিল টেন্ডার জমা দেয়ার শেষ দিন। ওই দিন দুপুরের পরে টেন্ডার বাক্স খুলে দেখা যায় মসজিদ নির্মাণ কাজে মাত্র একটি ও আবাসিক ভবন নির্মাণ কাজে মাত্র দুটি শিডিউল জমা পড়ে।শিডিউল কিনেও জমা দিতে না পারা ঠিকাদাররা সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, বুধবার সকাল থেকে ছাত্র ও যুব সংগঠনের নেতা-কর্মীরা গণপূর্ত ভবন ও তার আশপাশে পাহারা বসায়। আইনজীবী সমিতি ভবনের সামনের সড়ক, কোর্ট রোড ও জেলখানা ঘাট এলাকায় আলাদা আলাদা গ্রুপ বসিয়ে পাহারা দেন। তাদের বাধার কারণে কোনো ঠিকাদারই শিডিউল জমা দিতে পারেননি। মসজিদ নির্মাণ কাজটি ছাত্র সংগঠনের নেতা নিজেই হাতিয়ে নিয়েছেন। অপর কাজটি একজন ঠিকাদারকে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে দিয়েছেন।এ ব্যাপারে ছাত্র সংগঠনের নেতা জাগো নিউজকে বলেন, কোনো ঠিকাদারকে বাধা দেয়া হয়নি। আমি শেষ মুহূর্তে একটি শিডিউল জমা দিয়েছি। অন্যান্যরা শিডিউল জমা না দিলে আমারতো কিছুই করার নেই।গণপূর্ত বিভাগ-১ এর উপ-সহকারী প্রকৌশলী অলোক কুমার সরকার জাগো নিউজকে বলেন, দুটি কাজে তিনটি শিডিউল জমা পড়েছে। অফিসের বাইরে কাউকে বাধা দেয়া বা সিন্ডিকেট হয়েছে কি না তা আমার জানা নেই। এ ব্যাপারে আমাদের কাছে কোনো ঠিকাদার লিখিত অভিযোগ করেননি।আলমগীর হান্নান/এমজেড/পিআর
Advertisement