ফিটনেস ধরে রাখতে যার যতটুকু সুযোগ আছে ততটুকই কাজে লাগাতে হবে। প্রয়োজন হলে বাড়ীর উঠানেই করতে হবে জগিং, রানিং- রোববার নারী ফুটবলাদের এমন নির্দেশনা দিয়েছিলেন দলের প্রধান কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন।
Advertisement
তার নির্দেশনা পেয়েই অ্যাকশনে নেমে পড়েছেন নারী ফুটবল দলের কয়েক সদস্য। ময়মনসিংহের কলসিন্দুরের শামসুন্নাহার (সিনিয়র), সানজিদা আক্তার, সাজেদা ও নাজমারা কাকডাকা ভোরেই ঘর থেকে বের হয়ে ছুটে গেছেন তাদের স্কুল মাঠে।
‘আমরা চারজন খুব সকালে কলসিন্দুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের মাঠে গিয়েছিলাম। তখন মানুষের চলাফেরা শুরু হয়নি। বৃষ্টিতে মাঠে পানি ছিল, কাদা ছিল। আমরা শুকনো জায়গায় শরীরচর্চা করেছি। আমাদের গ্রামে অন্তত এক ডজন ফুটবলার আছে। অন্যরা বাড়িতে বিভিন্নভাবে জগিং, রানিং করছে’- ময়মনসিংহের কলসিন্দুর থেকে বলছিলেন শামসুন্নাহার।
মেয়েরা নিজেদের থেকেই উপলব্ধি করছেন যে, শরীরচর্চা না করলে ফিটনেস লেভেল কমে যাবে। গতকাল প্রধান কোচের বার্তা পাওয়ার পর আরো সচেতন হয়েছেন তারা।
Advertisement
শামসুন্নাহার বললেন, ‘করোনাভাইরাসের কারণে ক্যাম্প থেকে ছুটি হয়েছে কবেই। গ্রামের বাড়িতে শুয়ে-বসেই সময় কাটছে। ক্যাম্পে আবার কবে যাওয়া হবে জানি না। আমরা কলসিন্দুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের এক ডজন নারী ফুটবলার বাফুফের ক্যাম্পে আছি। বাসায় একা একা প্র্যাকটিস করি সবাই। কলসিন্দুর সরকারি স্কুল অ্যান্ড কলেজের মাঠ বৃষ্টির পানিতে নষ্ট হয়ে গেছে। তাই অনেকে এখানে আসতেও চায় না। তবুও কাকডাকা ভোরে, গ্রামের মানুষের ঘুম ভাঙার আগে আমরা চার মাঠে গিয়েছিলাম।’
আরআই/এসএএস/এমকেএইচ