সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রথম মেয়র ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য বদরউদ্দিন আহমদ কামরানের মরদেহ সিলেট নগরের ছড়ারপারে তার বাসভবনে নেয়া হয়েছে।
Advertisement
সোমবার দুপুর ১২টা ২০ মিনিটের দিকে মরদেহবাহী অ্যাম্বুলেন্সটি কামরানের ছড়ারপারের বাসায় প্রবেশ করে। অ্যাম্বুলেন্সটি বাসায় পৌঁছার সঙ্গে সঙ্গেই কান্নায় ভেঙে পড়েন দলীয় নেতাকর্মীসহ শত শত প্রতিবেশী।
জানা গেছে, বাসায় ধর্মীয় রীতি সম্পন্ন করে মরদেহ নেয়া হবে ছড়ারপার জামে মসজিদে। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত এই মসজিদের মোতায়াল্লিও ছিলেন কামরান। এখানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। জানাজা শেষে মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে নগরের মানিকপীরের টিলায়। সেখানে বাদ জোহর দ্বিতীয় দফায় জানাজা শেষে মা-বাবার কবরের পাশে সিটি কর্পোরেশনের এ গোরস্থানে কামরানকে দাফন করা হবে।
সিলেট পৌরসভার তিনবারের কমিশনার, একবারের চেয়ারম্যান ও সিলেট সিটি করপোরেশনের টানা দুইবারের সাবেক মেয়র, মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি বদরউদ্দিন আহমদ কামরান গত ৫ জুন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন। পরদিন তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে সিলেট শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন সেন্টারে ভর্তি করা হয়।
Advertisement
এরপর তার শরীর আরও খারাপ হলে ৭ জুন প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে বিমানবাহিনীর একটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তাকে ঢাকায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ৮ জুন কামরানের শরীরে প্লাজমা থেরাপিও দেয়া হয়। ধীরে ধীরে স্বাস্থ্যের উন্নতিও হচ্ছিল তার। কিন্তু চিকিৎসকদের সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়ে রোববার রাত ১১টার দিকে কামরানের মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয় এবং রাত পৌনে তিনটার দিকে ইন্তেকাল করেন সিলেটের জনপ্রিয় এই রাজনীতিবিদ।
সোমবার (১৫ জুন) সকাল ৭টার দিকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে থেকে অ্যাম্বুলেন্স যোগে কামরানের মরদেহ নিয়ে সিলেটের পথে রওনা হন তার পরিবারের সদস্যরা।
ছামির মাহমুদ/এফএ/জেআইএম
Advertisement