করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে দেশের এমপি-মন্ত্রীরা সরকারি কোনো হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন না জানিয়ে বিএনপির সংসদ সদস্য হারুন অর রশীদ বলেছেন, আমাদের স্বাস্থ্যব্যবস্থা সম্পূর্ণভাবে ভারতমুখী হয়ে গেছে। গত ১০ বছরে বাংলাদেশ থেকে চার কোটির অধিক মানুষ চিকিৎসার জন্য ভারতে গেছেন। আজকে এটি বাস্তব সত্য। এই সত্য কথাগুলো বলার জন্য সংসদে এসেছি।
Advertisement
সোমবার (১৫ জুন) সকালে জাতীয় সংসদে চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরের সম্পূরক বাজেটের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
হারুন অর রশীদ বলেন, 'আমি চাঁপাইনবাবগঞ্জের একজন এমপি। সেখানে সদর হাসপাতালে সভাপতির দায়িত্ব পালন করছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সেই হাসপাতাল ২০১১ সালে ১০০ শয্যা থেকে আড়াইশ শয্যায় উন্নীত করার ঘোষণা দেন। অবকাঠামো নির্মিত হয়েছে। এখানে পর্যাপ্ত জনবল নেই। সেখানে অক্সিজেনের সিস্টেমও নেই।'
তিনি বলেন, 'দেশে তিনটি স্পেশালাইজড হাসপাতাল। সেখানে করোনার কোনো চিকিৎসা করা হচ্ছে না। আইসিইউ ইউজ করা হয়নি। এখও পরীক্ষা-নিরীক্ষা নেই। অথচ গণস্বাস্থ্যের মতো একটি প্রতিষ্ঠান করোনার কিট উদ্ভাবন করেছে। সরকার এখন পর্যন্ত সেটি অনুমোদন দিচ্ছে না। এটির কী কারণ, তার কোনো ব্যাখ্যা নেই। এটি অনুমোদন দিতে কেন এত সময় লাগছে? এটির প্রয়োজন আছে কিংবা নেই? আজকে যদি আমরা এই স্বল্পমূল্যের কিট উপজেলা পর্যায়ে ছড়িয়ে দিতে পারতাম তাহলে সবাই উপকৃত হতাম। গণস্বাস্থ্যের মতো একটি প্রতিষ্ঠান যদি এ ধরনের কিছু তৈরি করতে পারে তাহলে বঙ্গবন্ধু শেখ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে কী কাজ হচ্ছে? আজকে সরকারের মন্ত্রী-এমপিরা আক্রান্ত হলে সরকারি কোনো হাসপাতালে যাচ্ছেন না। তারা সিএমএইচে বা প্রাইভেট হাসপাতালে যাচ্ছেন। আমাদের স্বাস্থ্যব্যবস্থা যে একেবারেই ভঙ্গুর, একেবারে ধ্বংস হয়ে গেছে, আজকে এটিই তার প্রমাণ।'
Advertisement
তিনি বলেন, 'এটি সমালোচনা-আলোচনার বিষয় নয়। এই অবস্থা থেকে আমরা কীভাবে মোকাবিলা করব, সেজন্য আমাদের সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিতে হবে। সরকারের উন্নয়ন ব্যয় হ্রাস করতে হবে। সরকারের উন্নয়ন ব্যয় হ্রাস করে আজকে মানুষের জীবন এবং জীবিকার দিকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে।'
এইচএস/জেডএ/এমকেএইচ