সরকারি বোরো সংগ্রহের ক্ষেত্রে চলতি মৌসুমে একজন কৃষকের কাছ থেকে সর্বোচ্চ তিন টনের পরিবর্তে ছয় টন ধান কেনা যাবে।
Advertisement
রোববার (১৪ জুন) ‘অভ্যন্তরীণ খাদ্যশস্য সংগ্রহ নীতিমালা, ২০১৭’ সংশোধন করে এ পরিমাণ নির্ধারণ করে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে খাদ্য অধিদফতরের মহাপরিচালকের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, ‘অভ্যন্তরীণ খাদ্যশস্য সংগ্রহ নীতিমালা, ২০১৭’ এর ৯(খ) অনুচ্ছেদে একজন কৃষকের নিকট থেকে খাদ্যশস্যে ক্রয়ের বিষয়ে নিম্নরূপ উল্লেখ রয়েছে- ‘অধিক সংখ্যক কৃষককে সুযোগ প্রদানের লক্ষ্যে উপজেলা কমিটি একজন কৃষকের নিকট থেকে সর্বনিম্ন তিন বস্তা পরিমাণ অর্থাৎ ১২০ কেজি ধান ও ১৫০ কেজি গম এবং সর্বোচ্চ তিন মেট্রিক টন পর্যন্ত ধান/গম সংগ্রহ পরিমাণ নির্ধারণ করতে পারবে। নির্ধারিত পরিমাণ ধান/গম একজন কৃষক কিস্তিতে বিক্রি করতে পারবেন। তবে কোনো কিস্তি তিন বস্তার কম হবে না।’
বর্তমান বোরো সংগ্রহ মৌসুমের ক্ষেত্রে উল্লিখিত অনুচ্ছেদে বর্ণিত ধান ক্রয়ের ঊর্ধ্বসীমা তিন মেট্রিক টনের পরিবর্তে ছয় মেট্রিক টন নির্ধারণ করা হলো।
Advertisement
এক্ষেত্রে মাঝারি ও উচ্চ ধরনের কৃষকের প্রকৃত তালিকার মধ্য থেকে লটারির মাধ্যমে নির্বাচিত কৃষকের নিকট থেকে সর্বোচ্চ ছয় মেট্রিক টন গম সংগ্রহ করা যাবে। তবে কোনোক্রমেই ব্যবসায়ী/ফড়িয়া বা মধ্যস্বত্বভোগী কারো কাছ থেকে ধান সংগ্রহ করা যাবে না বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
চলতি বোরো মৌসুমে সরকারিভাবে আট লাখ টন ধান এবং ১০ লাখ টন সিদ্ধ চাল ও দেড় লাখ টন আতপ চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
বোরো ধান গত ২৬ এপ্রিল থেকে কেনা শুরু হয়েছে। ৭ মে থেকে শুরু হয়েছে চাল সংগ্রহ। ধান-চাল সংগ্রহ শেষ হবে ৩১ আগস্ট।
খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, চলতি বোরো মৌসুমে ২৬ টাকা কেজি দরে ধান, ৩৬ টাকা কেজি দরে সিদ্ধ চাল ও ৩৫ টাকা কেজি দরে আতপ চাল কেনা হচ্ছে।
Advertisement
আরএমএম/এসআর/এমকেএইচ