ক্যাম্পাস

করোনা অনিশ্চয়তায় মেস ছাড়ছেন জবি শিক্ষার্থীরা

তিন মাস হতে যাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস পরীক্ষা বন্ধ। এরই মধ্যে ফুরিয়ে গেছে কাছে থাকা টাকা। করোনাকাল কবে শেষ তারও কোনো নিশ্চিয়তা নেই। তবে এমন অনিশ্চয়তার মধ্যেও মেস ভাড়ার চাপ যখন নিশ্চিত, তখন বাধ্য হয়েই গণহারে মেস ছাড়ছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা।

Advertisement

সম্পূর্ণ অনাবাসিক জবির ৮০-৮৫ ভাগ শিক্ষার্থীকেই মেসে থাকতে হয়। টিউশন কিংবা খুব কষ্টের পার্টটাইম চাকরিতে জোগাড় হয় অধিকাংশের মেস খরচ। কেউবা আবার এই টাকার কিছু অংশ বাড়িতে পাঠাতেন। তবে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সিদ্ধান্তহীনতা আর মেস মালিক কিংবা ম্যানেজারের চাপে মেস ছাড়ার পথেই হাঁটতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের।

আয়ের উৎস হারানো মেসে থাকা জবি শিক্ষার্থীদের সহ্য করতে হচ্ছে মেস ভাড়ার চাপ। মেস মালিকের ভাড়ার চাপে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগের কথা থাকলেও মেলেনি কোনো কার্যকর সমাধান। সম্প্রতি বাড়িভাড়া সংকট সমাধানে কমিটি গঠন করা হলেও ওই কমিটির কোনো পদক্ষেপ দৃশ্যমান হয়নি।

মেস ছাড়ছেন অথবা ছাড়বেন এমন কয়েকজন শিক্ষার্থীর ভাষ্য, করোনা সংকট এখন পুরোপুরি অনিশ্চয়তার মধ্যে। এখন মেসে না থেকে আমরা ভাড়া বহনে রাজি নই। তবে ব্যবহার্য মালামাল কোথায় রাখব-এটাও চিন্তায় ফেলছে আমাদের। অন্তত এই বিষয়ে প্রশাসনের সহায়তা পেলে ভালো হবে।

Advertisement

বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ রিমন। তিনি বলেন, পরিস্থিতি কবে নাগাদ ঠিক হবে জানি না। মেসভাড়া বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তুকি কিংবা সরকারিভাবে এটা মওকুফ হবে কি-না, তারও নিশ্চয়তা নেই। তাই মেস ছেড়ে দেয়াই বাঞ্ছনীয় ভাবছি।

তবে শিক্ষার্থীদের মেস ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিতে হলেও বিপাকে পড়তে হচ্ছে মালামাল নিয়ে। কিছু শিক্ষার্থী তাদের মালামাল আত্মীয়ের বাসায় রাখার সুযোগ পেলেও বাকিরা পড়েছেন ঘোর বিপদে। তাদের দাবি, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া জরুরি।

এ বিষয়ে বাড়িভাড়া সমস্যা সমাধান কমিটির সদস্য সাবেক প্রক্টর অধ্যাপক ড. নূর মোহাম্মদ বলেন, আমরা ইতোমধ্যে এ বিষয়ে কাজ শুরু করেছি। বিভাগীয়ভাবে তথ্য সংগ্রহের পর আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।

ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের জিনিসপত্র রাখার বিষয়ে তিনি বলেন, এটা অবশ্যই করা যায়। এক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের নিজ বিভাগে জিনিসপত্র থাকলে নিরাপদ থাকবে। ক্লাস শুরুর আগেই তারা তাদের জিনিসপত্র সরিয়ে নেবে।

Advertisement

এসআর/জেআইএম