করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণের ঝুঁকিতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়লেও নগরীর প্রকৃতি ও পরিবেশ স্বরূপ ফিরে পাচ্ছে।
Advertisement
গত মার্চের শেষের দিক থেকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকারি নির্দেশে দুই মাসেরও বেশি সময় সাধারণ ছুটিতে রাজধানীতে গণপরিবহন চলাচল একেবারেই বন্ধ ছিল। রাস্তাঘাটে মানুষের উপস্থিতিও ছিল তুলনামূলকভাবে অনেক কম। দুই মাস পর সীমিত পরিসরে গণপরিবহন চলাচল শুরু হলেও আগের তুলনায় সে সংখ্যা খুবই নগণ্য।
ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে রাস্তার আইল্যান্ড সৌন্দর্যবর্ধন করতে গাছপালা লাগানো হলেও কাক ডাকা ভোর হতে গভীর রাত অবধি হাজার হাজার যানবাহনের কালো ধোঁয়ায় গাছগুলো স্বাভাবিকভাবে বেড়ে উঠতে পারতো না। সবুজ পাতাগুলো ধুলাবালি আর কালো ধোঁয়ায় বিবর্ণ থাকতো। গাছে ফুল ফুটলেও সেটি কোন রঙের ফুল তা বোঝা যেত না।
একই অবস্থা রাস্তা লাগোয়া বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের। সৌন্দর্যবর্ধন করতে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে প্রবেশ পথের দুই ধারে বিভিন্ন ফুলের গাছ লাগানো হলেও সে গাছগুলোতে সহজে ফুল ফুটতো না। দল বেঁধে আড্ডা মারার সময় ইচ্ছাকৃত বা অনিচ্ছাকৃতভাবে ফুলের পাতা কিংবা ফুলের কলি ছিড়ে অঙ্কুরেই বিনষ্ট করা হতো।
Advertisement
কিন্তু করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে নগরীর রাস্তাঘাট ও বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন স্থানে প্রকৃতি ও পরিবেশ নতুন রূপে সেজেছে।
রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে লাগানো গাছগুলোতে এখন সবুজ পাতার ছড়াছড়ি। গাছে গাছে ফুটেছে রং-বেরঙের ফুল। বর্ষাকাল শুরু হওয়ায় বৃষ্টির পানিতে ভিজে সবুজ পাতাগুলো আরও সবুজ দেখায়।
রোববার (১৪ জুন) রাতে ঢাকা কলেজের প্রধান ফটকের সামনে গিয়ে দেখা যায়, তালাবদ্ধ গেটের ভেতরে সুনসান নীরবতা। প্রধান ফটকের দুই ধারে আলো জ্বলছে। দুই ধারে গাছগুলো ফুলে ফুলে ভরে গেছে।
রাজধানীর নীলক্ষেত কর্মজীবী মহিলা হোস্টেল এবং টেলিফোন এক্সচেঞ্জ কার্যালয়ের সামনের রাস্তায় একইভাবে দৃষ্টিনন্দন ফুল চোখে পড়ে।
Advertisement
করোনাভাইরাস পরিস্থিতি অনেক কিছু কেড়ে নিলেও রাজধানীর বিভিন্ন এলাকাজুড়ে প্রকৃতি ও পরিবেশের স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে দিয়েছে।
এমইউ/এমএসএইচ