জাতীয়

ইন্টারনেট ও কলচার্জের খরচ কমানোর অনুরোধ তারানা হালিমের

২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটে মোবাইল সেবা অর্থাৎ কথা বলা, মেসেজ পাঠানো ও ইন্টারনেট ব্যবহারের ওপর সম্পূরক শুল্ক ৫ শতাংশ বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ প্রস্তাব করার বিষয়ে এবার কথা বলেছেন সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।

Advertisement

সরকারের কাছে মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেট ব্যবহারের খরচ পুনর্বিবেচনার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি। এ নিয়ে শুক্রবার (১২ জুন) নিজের ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন তিনি।

‘গ্রাহকদের ওপর ইন্টারনেট ব্যবহার ও কলরেট বৃদ্ধির বোঝা!!' শিরোনামে এই স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন, 'করোনার সময় মোবাইলে কথা বলা, ভিডিও কল, অনলাইনে কাজ করা- এখন যেমন সোসাইল ডিসটেন্সিং পরোক্ষভাবে অত্যন্ত কার্যকর তেমনি মানসিক সুস্বাস্থ্যের জন্য বিভিন্ন দেশ ইন্টারনেটের মাধ্যমে কাজের সাথে, স্বজনদের সাথে সংযুক্ত থাকতে উৎসাহিত করছে জনগণকে।'

তিনি প্রতিমন্ত্রী থাকাকালে কলরেট বাড়ানোয় সম্মত হননি উল্লেখ করে তারানা হালিম লিখেছেন, 'উল্লেখ্য যে, আমি ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের প্রতিমন্ত্রী থাকাকালীন কলরেট বৃদ্ধিসহ গ্রাহকদের ওপর চাপ পড়ে এমন কোনো কিছুর সাথে একমত হইনি। কারণ, মোবাইল ও ইন্টারনেটের ব্যবহার বৃদ্ধির জন্য ভয়েস ও ডাটা এবং ইন্টারনেট ব্যবহারে মানুষকে আরও উৎসাহিত করার পূর্বশর্ত সাশ্রয়ী মূল্য। বিশেষ করে স্টুডেন্টদের জন্য।'

Advertisement

ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারকে বিষয়টি বিবেচনা করার জন্য অর্থমন্ত্রীকে বলতে বলেছেন তিনি।

তিনি লিখেছেন, 'বুঝলাম না, টেলিকম সার্ভিসকে করোনাকালীন সময়ে অপরিহার্য সেবা বলা হলো, আবার ১০০ টাকা রিচার্জ করলে বাজেটে আগের ২১ টাকার বদলে এখন কেন ২৫ টাকা করা হলো (হিসাব তাই বলে)। বর্তমান মন্ত্রী জনাব মোস্তাফা জব্বারের প্রতি বিষয়টি বিবেচনা করার জন্য মাননীয় অর্থমন্ত্রী মহোদয়কে অনুরোধ করার অনুরোধ রইল।'

উল্লেখ্য, নতুন করহারে মোবাইল সেবার ওপর মূল্য সংযোজন কর (মূসক বা ভ্যাট) ১৫ শতাংশ, সম্পূরক শুল্ক ১৫ শতাংশ ও সারচার্জ ১ শতাংশ হবে। ফলে মোট করহার দাঁড়াবে ৩৩ দশমিক ৫৭ শতাংশ।

অর্থাৎ প্রতি ১০০ টাকা রিচার্জে সরকারের কাছে কর হিসেবে যাবে ২৫ টাকার কিছু বেশি। এতদিন তা ২২ টাকার মতো ছিল। ফলে মোবাইল ফোনে কথা বলা, এসএমএস পাঠানো এবং ডেটা ব্যবহারের খরচও বেড়ে যাবে।

Advertisement

গত অর্থবছরের বাজেটে মোবাইল সিম বা রিম কার্ড ব্যবহারের মাধ্যমে সেবার বিপরীতে সম্পূরক শুল্ক ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করা হয়েছিল।

বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) কারণে স্থবির দেশের অর্থনীতি। এ পরিস্থিতিতে টিকে থাকা ও অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের প্রত্যাশা সামনে রেখে ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট গত বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

জেডএ/এমকেএইচ