জাতীয়

ছদ্মবেশে ম্যাজিস্ট্রেট, ২২০ টাকার স্যাভলন ৫০০ চেয়ে ফাঁসলেন দোকানি

‘রিয়াজুদ্দিন বাজারে অভিযানের শুরুতে ফোর্স বাইরে রেখে পরিচায় গোপন করে কয়েকটি কসমেটিকসের দোকানে ঘুরলাম। পাঁচটি দোকানে দাম যাচাই করে দেখলাম সবার একদাম, এক লিটার একটি স্যাভলন অ্যান্টিসেপ্টিক ৫৫০ টাকা। তাদের দাবি বেশি দামে কিনেছেন।’- কথাগুলো নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুকের।

Advertisement

পরে নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে স্যাভলন বিক্রি করার দায়ে পাঁচটি প্রতিষ্ঠানকে ৪২ হাজার টাকা জরিমানা করে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত। রোববার (১৪ জুন) দুপুরে উমর ফারুকের সঙ্গে অভিযানে অংশ নেন ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের সহকারী পরিচালক হোসাইন মোহাম্মদ ইমরান।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুক জাগো নিউজকে বলেন, ‘প্রথম দফায় সব দোকানদারই যখন বেশি দাম চাইলো, তখনই পেছন থেকে আমাদের ফোর্স বাজারে প্রবেশ করলো। এবার দোকানিরা তাদের সুর বদলাতে থাকে। ভ্রাম্যমাণ আদালতকে জানায় তাদের কেনা বেশি। তবে তারা এ জন্য কোনো রশিদ দেখাতে পারেননি।’

‘আমরা ঘটনাস্থল থেকেই বিক্রয় প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলে নিশ্চিত হয়েছি তারা পাইকারিতে বেশি দাম রাখছেন না।’- বলেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুক।

Advertisement

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, এসব দোকানে এক লিটার ২২০ টাকার একটি স্যাভলন অ্যান্টিসেপ্টিকের দাম রাখা হচ্ছিল ৫০০ টাকা। ১০০ এমএল স্যাভলনের দাম ৪৪ টাকা হলেও তা রীতিমতো দিগুণের বেশি দামে ১২০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছিল।

তিনি জানান, অভিযানে বেশি দামে স্যাভলন বিক্রি, নকল হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও মাস্ক রাখার দায়ে রূপসজ্জা কসমেটিকসকে ২০ হাজার, রফিক কসমেটিকসকে ১০ হাজার, হক ক্যাপ হাউজকে পাঁচ হাজার, ইলিয়াস কালেকশনকে পাঁচ হাজার ও রাশেদ ক্যাপ হাউজকে দুই হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়।

আবু আজাদ/বিএ/এমকেএইচ

Advertisement