পাকশী পেপার মিলের গোডাউনে ইউরিয়া সার রাখায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন বিসিআইসির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইকবাল। তিনি বৃহস্পতিবার দুপুরে বন্ধ থাকা এই মিল পরিদর্শনে এসে স্থানীয় কর্মকর্তাদের প্রতি বিরক্ত প্রকাশ করে সাংবাদিকদের জানান, মিলটি পুনরায় চালু করা সম্ভব, তবে সামগ্রিক কাজ করতে প্রচুর অর্থের প্রয়োজন। উল্লেখ্য, বিগত জামায়াত-বিএনপির জোট সরকারের সময় শিল্পমন্ত্রী মতিউর রহমান নিজামী আনুষ্ঠানিকভাবে লোকশানের অজুহাতে গুরুত্বপূর্ণ ও বড় আকারের এই কাগজ কারখানাটি বন্ধ ঘোষণা করেন। এতে প্রায় ১১শ শ্রমিক-কর্মচারী বেকার হয়ে পড়েন। শুধু তাই নয় কাগজ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ও মিলকেন্দ্রিক বিভিন্ন ব্যবসার সঙ্গে জড়িত অনেক মানুষ আয়-উপার্জন হারা হয়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে দুর্বিষহ জীবনে পতিত হন। পাকশী পেপার মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) একেএম মহিউদ্দিন জাগো নিউজকে জানান, এখন পর্যন্ত মিল চালুর কোনো খবর তাদের কাছে নেই। মিলটি রক্ষণাবেক্ষণ করতে এখনো এম.ডি, প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও হিসাবরকক্ষকসহ তিনজন কর্মকর্তা, ১৮ জন কর্মচারী, ১০ জন সিকিউরিটি এবং ৬০ জন আনসার মিলিয়ে ৯১ জনের বেতন বাবদ প্রতিমাসে আট লাখ টাকা এবং প্রতি মাসে বিদ্যুৎ বিল বাবদ প্রায় দেড় লাখ টাকাসহ প্রায় ১২ লাখ টাকা অযথাই গুণতে হচ্ছে সরকারকে। এক সময়ের জমজমাট মিল এলাকা এখন পরিণত হয়েছে বিরাণভূমিতে। যন্ত্রপাতি-ভবনসহ স্থাপনা ধীরে ধীরে অকেজো হয়ে যাচ্ছে, বিশাল এলাকার জমি-জমাও ঠিকমত রক্ষণাবেক্ষণ করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের। আলাউদ্দিন আহমেদ/এমজেড
Advertisement