নির্মোহভাবে কর্মকর্তাদের দায়িত্ব পালনের জন্য আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ।
Advertisement
তিনি বলেন, ‘করোনাকালে জনগণকে সেবা দেয়ার জন্য সাধারণ মানুষের অকুণ্ঠ সমর্থন এবং ভূয়সী প্রশংসা পেয়েছে পুলিশ। মানুষ পুলিশকে সম্মান করছেন, ভালোবাসছেন। পুলিশের প্রতি মানুষের এ বিশ্বাস, আস্থা ও সম্মান আমাদের করোনা পরবর্তী সময়েও ধরে রাখতে হবে।’
রোববার (১৪ জুন) দুপুরে পুলিশ সদর দফতরের সম্মেলন কক্ষ শাপলায় সদ্য পদোন্নতিপ্রাপ্ত ২১ জন অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের উদ্দেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এ আহ্বান জানান তিনি।
বেনজীর আহমেদ বলেন, ‘এ দুর্যোগকালে আমরা করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে যাচ্ছি। করোনার বিরুদ্ধে সম্মুখযোদ্ধা হিসেবে লড়াই করছে বাংলাদেশ পুলিশ। এ পর্যন্ত আমাদের ২৪ জন সহকর্মী করোনাযুদ্ধে জীবন উৎসর্গ করেছেন।’
Advertisement
তিনি বলেন, ‘করোনাকালে বাংলাদেশ পুলিশ নিজ দায়িত্বের চৌহদ্দির বাইরে গিয়ে মানবিক পুলিশ হিসেবে মানুষের পাশে রয়েছে, তাদের সেবা দিয়ে যাচ্ছে। করোনায় মৃত ব্যক্তিকে যখন আপনজনরা ছেড়ে যাচ্ছে, তখন পুলিশ তাদের দাফন করছে, সৎকার করছে। করোনাকালে জনগণকে সেবা দেয়ার জন্য সাধারণ মানুষের অকুণ্ঠ সমর্থন এবং ভূয়সী প্রশংসা পেয়েছে পুলিশ।’
নির্মোহভাবে দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে দেশ ও জনগণের কল্যাণে কাজ করার জন্য পুলিশ কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে আইজিপি বলেন, ‘যারা নানা কারণে পুলিশের সমালোচনা করতেন, তারাও আজ পুলিশের পক্ষে কথা বলছেন, পুলিশের জন্য কলম ধরছেন। এ পাওয়া আমাদের জন্য বিশাল অর্জন। এ বিশ্বাস, আস্থা ও সম্মান আমাদের করোনা পরবর্তী সময়েও ধরে রাখতে হবে।’
বেনজীর আহমেদ বলেন, ‘আমাদের স্বাধীনতার প্রথম প্রহরে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে শুধুমাত্র থ্রি নট থ্রি রাইফেল দিয়ে পাকহানাদার বাহিনীর আধুনিক অস্ত্রের মোকাবিলা করেছে পুলিশ। এ গর্বিত ইতিহাসকে ধারণ করতে হবে। এ ঐতিহ্যের উত্তরাধিকার হিসেবে বাংলাদেশ পুলিশকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।’
অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত আইজি (প্রশাসন) ড. মো. মইনুর রহমান চৌধুরী, অতিরিক্ত আইজি (অর্থ) শাহাব উদ্দীন কোরেশী, অতিরিক্ত আইজি (এইচআরএম) এস এম রুহুল আমিন উপস্থিত ছিলেন। পরে আইজিপি অন্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়ে পদোন্নতিপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের র্যাংক ব্যাজ পরিয়ে দেন।
Advertisement
জেইউ/এফআর/এমকেএইচ