করোনা মোকাবিলায় বাংলাদেশকে সহযোগিতার জন্য আসা চীনের বিশেষজ্ঞরা বৈঠকের পর বৈঠক করছেন। রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালের পাশাপাশি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন অধিদফতর ও বিভাগে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা।
Advertisement
সরাসরি পরিদর্শনের পাশাপাশি করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসাসেবা নিয়ে বাংলাদেশের বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে অনলাইনেও কথা বলছেন চীনের ১০ সদস্যের প্রতিনিধি দলটি।
গত ৮ জুন ঢাকায় আসা চীনের বিশেষজ্ঞ প্রতিনিধি দলটি ৯ জুন থেকে মাঠপর্যায়ে কাজ শুরু করে বলে জানায় চীনা দূতাবাস।
ঢাকায় চীনের উপরাষ্ট্রদূত ইয়ান হুয়ালং শনিবার তার ফেসবুক পেজে জানিয়েছেন, বিশেষজ্ঞ দলটি বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছে। প্রতিনিধি দলটি বসুন্ধরায় নির্মিত করোনা হাসপাতালও পরিদর্শন করেছে বলে জানান তিনি। প্রতিনিধি দলটি গত ১২ জুন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শনের পাশাপাশি সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে মত বিনিময় সভায় অংশ নেয়।
Advertisement
সভা শেষে ঢাকা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. খান আবুল কালাম আজাদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘মূলত আমাদের এখানকার করোনা রোগীদের বিষয়ে তাদের সঙ্গে কথা হয়েছে। তারা বলেছেন, বিশ্বের কোথাও এখনো এর প্রতিষেধক বের হয়নি। অনেক দেশেই প্লাজমা থেরাপি দেয়া হচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত অক্সিজেন সাপোর্টই এর মূল চিকিৎসা বলে তারা জানিয়েছে।’
অধ্যক্ষ আরও বলেন, বাংলাদেশকে কিছু অক্সিজেন সাপোর্ট ডিভাইস দিতে চীন রাজি হয়েছে।
ডা. লি ওয়েনশিউরের নেতৃত্বে চীনের এই বিশেষজ্ঞ দলটি গত বুধবার রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে যান। সেখানে হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স ও উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে তাদের অভিজ্ঞতা বিনিময় করেন।
এককই দিন তারা আইইডিসিআর পরিদর্শন করেন। মঙ্গলবার চীনা প্রতিনিধি দলের সদস্যরা মহাখালীর স্বাস্থ্য অধিদফতরে যান। সেখানে তারা অধিদফতরের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে দিনভর আলোচনা করেন। এ সময় বাংলাদেশের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি চীনা প্রতিনিধি দলের সদস্যদের কাছে তুলে ধরা হয়।
Advertisement
করোনাভাইরাস সংক্রমণের মধ্যে চীনের ১০ সদস্যের মেডিকেল টিম গত ৮ জুন ঢাকায় আসে। এ দলে চীনা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, নার্স এবং প্রযুক্তিবিদ রয়েছেন। চীনা মেডিকেল টিম বাংলাদেশে দুই সপ্তাহ অবস্থান করবে। এ সময় তারা করোনা আক্রান্ত রোগীদের পরিদর্শন করবেন এবং মনোনীত হাসপাতাল, কোয়ারেন্টাইন সেন্টার ও পরীক্ষাকরণ কেন্দ্রগুলোতে কাজ করবেন।
জেপি/এএইচ/জেআইএম