হাদিস অনুসারে কালোজিরা ব্যবহার করে করোনাভাইরাস আক্রান্তদের সম্পূর্ণ সুস্থ করে তোলার দাবি করেছেন মদিনার তাইবাহ ইউনিভার্সিটির একদল গবেষক। তাদের গবেষণাপত্রটি সম্প্রতি মার্কিন জার্নাল ‘পাবলিক হেলথ রিসার্চ’-এ প্রকাশিত হয়েছে বলে জানিয়েছে মুসলিম ইঙ্ক নামে একটি সাময়িকী।
Advertisement
এর প্রতিবেদনে বলা হয়- হযরত আয়েশা সিদ্দিকা (রা.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, কালোজিরা হলো সর্বরোগ থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার ওষুধ। শুধু বিষ ছাড়া। আয়েশা (রা.) জিজ্ঞেস করেন, বিষ কী? রাসুল (সা.) বলেছেন, মৃত্যু। (সহীহ বুখারি-৫৩৬৩)
গবেষকরা জানিয়েছেন, করোনা আক্রান্ত রোগীকে দুই গ্রাম কালোজিরা, এক গ্রাম চামেলি ফুল, এক চামচ মধু একসঙ্গে ভালোভাবে মিশিয়ে খাওয়াতে হবে। এটি খাওয়ার পর জুস কিংবা একটি কমলা খেতে দেয়া যেতে পারে। তবে লেবু খেলে বেশি ভালো। করোনামুক্ত না হওয়া পর্যন্ত প্রতিদিন এভাবে খেতে হবে।
সৌদির গবেষক দলটি বলছে, রোগীর করোনা শনাক্ত হওয়ার প্রথম সপ্তাহে দিনে পাঁচবার উপরোক্ত নিয়ম অনুসারে কালোজিরা খাওয়াতে হবে। সুস্থ হয়ে ওঠার পর মহামারি শেষ না হওয়া পর্যন্ত দিনে একবার করে খেতে হবে সেগুলো।
Advertisement
রোগীর কাশি বেশি এবং শ্বাসকষ্ট হলে কালোজিরা ও লবঙ্গ মেশানো পানি গরম করে নাক দিয়ে বাষ্প টেনে নেয়া যেতে পারে। কালোজিরা-চামেলিও পানিতে গরম করে বাষ্প নাক দিয়ে টানতে পারেন।
গবেষকরা বলছেন, অক্সিজেনের অভাব হলে এক চামচ কালোজিরা, এক চামচ চামেলি এবং এক কাপ পানি একটি পাত্রে নিয়ে হালকা গরম করতে হবে। এভাবে দিনে পাঁচ থেকে ছয়বার পানি গরম করে বাষ্প নাক দিয়ে টেনে নিতে হবে।
মদিনার গবেষক দলটির সদস্য ডা. সালেহ মুহাম্মদ বলেন, ‘আল্লাহর রহমতে যেসব করোনা রোগীকে এই পদ্ধতিতে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে, তাদের সবাই সেরে উঠছেন। এই পদ্ধতিতে রোগীদের সেরে উঠতে এক সপ্তাহের বেশি সময় লাগছে না।’
কেএএ/পিআর
Advertisement