পড়াশোনা করতে নিজ দেশ ছেড়ে পাড়ি জমিয়েছেন সুদূর অস্ট্রেলিয়ায়। কুইন্সল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছেন কম্পিউটার সায়েন্স অনুষদে। করোনাকালে ফিতে পারেননি দেশে। তবে অস্ট্রেলিয়ায় বসেই মানবতার অসাধারণ দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন ভারতের ব্যাঙ্গালুরুর ছাত্র শ্রেয়াস শ্রেষ্ঠ।
Advertisement
করোনাভাইরাসের এ সংকটময় সময়ে যখন আপনজনদেরও দূরে সরে যাওয়ার অনেক ঘটনা দেখা যাচ্ছে, তখন স্বার্থহীনভাবে অভাবী ও প্রয়োজনে থাকা শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন শ্রেষ্ঠ। সবকিছু বন্ধ থাকায় যেসব শিক্ষার্থী সমস্যায় পড়েছে তাদের খাবার সরবরাহ করার ক্যাম্পেইন চালাচ্ছেন শ্রেষ্ঠ।
শ্রেষ্ঠর এমন উদ্যোগে মুগ্ধ অস্ট্রেলিয়ার দুই ক্রিকেটার ডেভিড ওয়ার্নার ও অ্যাডাম গিলক্রিস্ট। তারা দুজনই আলাদা আলাদা ভিডিওবার্তায় শুভকামনা জানিয়েছেন শ্রেষ্ঠকে। এমন কাজের মাধ্যমে নিজ দেশ ভারতকে গর্বিত করছেন শ্রেষ্ঠ- এমনটাই মন্তব্য করেছেন ওয়ার্নার।
বাঁহাতি ওপেনার ওয়ার্নার ভিডিওবার্তায় বলেছেন, ‘নামাস্তে, শুভদিন। আমি এই ভিডিওটি করছি, কোভিড-১৯ এর এই সময়ে স্বার্থহীনভাবে কাজ করায় শ্রেয়াস শ্রেষ্ঠকে ধন্যবাদ জানাতে। শ্রেয়াস কুইন্সল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক করছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক পরিচালিত খাবার রান্না করা এবং পৌঁছে দেয়ার ক্যাম্পেইনে সক্রিয় ভূমিকা রাখছে শ্রেয়াস। যা এখন খুবই জরুরি।’
Advertisement
তিনি আরও বলেন, ‘আমি শুধু বলতে চাই, খুব ভালো কাজ করছ। আমি নিশ্চিত তোমার বাবা, মা এবং পুরো ভারত এই কাজে গর্বি। ভালো কাজ চালিয়ে যাও। আমরা এখন সবাই একইরকম অবস্থায়, একসঙ্গেই থাকতে হবে।’
শুধু শ্রেষ্ঠ নয়, একইধরনের কাজে নিজেকে সম্পৃক্ত রেখেছেন ভারতের কেরালা অঞ্চলের নার্সিং পড়ুয়া শিক্ষার্থী শ্যারন ভার্জেস। তার এমন কাজে পুরো অস্ট্রেলিয়া ও ভারত উভয় দেশই গর্বিত বলে মন্তব্য করেছেন গিলক্রিস্ট। ওয়ার্নারের আগে তিনি দিয়েছেন ভিন্ন আরেক ভিডিওবার্তা।
উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান গিলক্রিস্ট বলেছেন, ‘শ্যারন ভার্জেসের মহানুভবতার কথা শুনে আমি সত্যিই আনন্দিত। উলংগং বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত শ্যারন নিজের সময় বাঁচিয়ে বয়স্ক মানুষদের সেবা দিয়ে যাচ্ছে। আমি তোমাকে অভিনন্দন জানাতে চাই শ্যারন। পুরো অস্ট্রেলিয়া, ভারত এবং তোমার পরিবার নিশ্চয়ই তোমার ওপর গর্বিত।’
এসএএস/জেআইএম
Advertisement