ব্রাজিলের শীর্ষস্থানীয় চিকিৎসা গবেষণা কেন্দ্র ‘দ্য বাটান্টান ইনস্টিটিউট’ মহামারি নভেল করোনাভাইরাসের সম্ভাব্য একটি ভ্যাকসিন উৎপাদনের জন্য চীনের সিনোভ্যাক বায়োটেক লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তি করেছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, বৃহস্পতিবার এই চুক্তি সম্পর্কে ঘোষণা দিয়েছে দ্য বাটান্টান ইনস্টিটিউ।
Advertisement
বাটান্টানের প্রেসিডেন্ট দিমাস কোভাস এবং সাও পাওলোর গভর্নর জোয়াও দোরিয়া বলেছেন, চীনের পরীক্ষাগারে তৈরি করোনার সম্ভাব্য ওই ভ্যাকসিনটি ইতোমধ্যে ক্লিনিকাল ট্রায়ালের তৃতীয় পর্যায়ে প্রবেশ করছে এবং আগামী বছরের জুনের মধ্যে লক্ষ লক্ষ ব্রাজিলিয়ানকে টিকা দেওয়ার জন্য তা প্রস্তুত হতে পারে।
বাটান্টানের প্রেসিডেন্ট কোভাস জানিয়েছেন, তৃতীয় ধাপে ব্রাজিলে ৯ হাজার স্বেচ্ছাসেবীর দেহে সম্ভাব্য ওই ভ্যাকসিনটি প্রয়োগের মাধ্যমে এর পরীক্ষা চালানো হবে। একবার কার্যকর হিসেবে প্রমাণিত হয়ে গেলে বাটান্টান এই প্রযুক্তিটির স্বত্ত্বাধিকারী হিসেবে বৃহৎ পরিসরে ব্রাজিলে ভ্যাকসিনটির ডোজ উৎপাদন শুরু করবে।
গত সপ্তাহে সাও পাওলোর ফেডারেল বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিফেস্প ঘোষণা দেয়, যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় এবং ওষুধ প্রস্তুতকারক জায়ান্ট অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি নভেল করোনাভাইরাসের সম্ভাব্য ভ্যাকসিনটির ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে প্রায় ২ হাজার স্বেচ্ছাসেবীসহ অংশ নেবে ব্রাজিল।
Advertisement
এদিকে করোনাভাইরাস সংক্রমণের নতুন কেন্দ্র হয়ে উঠেছে ব্রাজিল। প্রকোপ অনেক পরে শুরু হলেও আক্রান্তে শীর্ষে থাকা যুক্তরাষ্ট্রের পরপরই অর্থাৎ দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে এখন ব্রাজিল। সেখানে শেষ হিসাব পর্যন্ত আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত ৮ লাখের বেশি মানুষের মধ্যে ৪১ হাজার মারা গেছে। অবশ্য সুস্থও হয়েছে প্রায় ৪ লাখ।
এসএ