অর্থনীতি

বিশ্বের পরবর্তী উদীয়মান বাজার বাংলাদেশ

`বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম দেশ, যেখানে ব্যবসার সুযোগ ক্রমবর্ধমান হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ভোক্তার সংখ্যাও বাড়ছে সমানতালে। প্রতিবছর ২০ লাখ মানুষ মধ্যম আয়ে উত্তীর্ণ হচ্ছে ও সঙ্গে বাড়ছে ধনী ভোক্তার সংখ্যাও। যারা ভবিষ্যতের ব্যাপারে খুবই আশাবাদী, বিদেশি ব্র্যান্ডকে মূল্য দেয় ও  প্রযুক্তিগত সব সুবিধা পাওয়ার বিষয়ে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি খুবই ইতিবাচক।` বোস্টন কনসাল্টিং গ্রুপের (বিসিজি) সেন্টার ফর কাস্টমার ইনসাইট ‘দ্য সার্জিং কনজ্যুমার মার্কেট নোবডি স’ জরিপ প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাজধানীর গুলশানে গার্ডেনিয়া গ্র্যান্ড হলে অনুষ্ঠানিকভাবে এমন তথ্যবহুল প্রতিবেদন প্রকাশ করে বিসিজি। বিসিজি বিজনেস স্ট্র্যাটেজির ওপর বিশ্বের নেতৃস্থানীয় কনসালট্যান্সি ফার্ম। অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে এসডি এশিয়া।বিসিজি’র সেন্টার ফর কাস্টমার ইনসাইট ২ হাজারের বেশি বাংলাদেশি ভোক্তার ওপর জরিপ করে এবং তাদের ভোগের ধরণ সংক্রান্ত তথ্য বিশ্লেষণ ও গবেষণা করে এ গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করে।অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, বাংলাদেশে তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি ও অর্থনীতি দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার বিষয়টি গুরুত্ব দিচ্ছেন। বিশেষ অতিথি বক্তব্যে বিসিজি’র সহযোগী ও এ গবেষণা প্রতিবেদনের সহ রচয়িতা জারিফ মুনির বলেন, বাংলাদেশের বাজার এশিয়ার অন্যান্য দেশের বাজারগুলোর মধ্যে সবচেয়ে প্রবাহশীল। কিন্তু এ বাজারে এখন পর্যন্ত বেশিরভাগ ভোগ্যপণ্য প্রতিষ্ঠানগুলোর নজরে আসেনি। যেসব প্রতিষ্ঠান এ বাজারে অবস্থান নিতে আসবে তারা একটি দীর্ঘস্থায়ী প্রতিযোগিতামূলক বাজার সৃষ্টির সুযোগ পাবেন। গবেষণা প্রতিবেদনটি বাংলাদেশের মধ্য ও উচ্চবিত্তের ওপর পরিচালিত। বিসিজি’র তথ্য অনুযায়ী যাদের বার্ষিক পারিবারিক আয় ৫ হাজার বা তারও বেশি ইউএস ডলার তাদেরকেই মধ্য ও উচ্চবিত্ত হিসেবে ধরা হয়েছে। অর্থাৎ এ ভোক্তা শ্রেণির স্বাচ্ছন্দ্যপূর্ণ ও আরামদায়ক পণ্য ক্রয়ের সামর্থ রয়েছে। এসব পণ্যের মধ্যে রয়েছে- শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র, আমদানিকৃত শ্যাম্পু ও অন্যান্য প্রসাধন সামগ্রী।আরএম/আরএস/আরআইপি

Advertisement